/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/31/img-20250831-wa0017-2025-08-31-20-08-57.jpg)
লক্ষ্মী বিশ্বাস
West Bengal Teacher Recruitment Scam: অযোগ্যদের তালিকায় উঠে এলো বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ সুরজিত সরকারের স্ত্রী লক্ষ্মী বিশ্বাসের নাম। এই ঘটনায় সামনে এসেছে বিজেপি–তৃণমূলের আঁতাতের তত্ত্ব। যদিও বিজেপির দাবি, রাজনৈতিক কারণে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওই নাম পাঠিয়েছে। আমরা আইনের পথে হাঁটব।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কুসুম্বা হাইস্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন লক্ষ্মী বিশ্বাস। তাঁর শ্বশুর মশাই অমিয় সরকার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্যস্তরের দায়িত্বে রয়েছেন। স্বামী বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ সুরজিত সরকার। তাঁর দাবি, স্ত্রী নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিল। তৃণমূল কৌশলগত কারণে স্ত্রীর নাম অযোগ্যদের তালিকায় ঢুকিয়েছে।
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “লক্ষ্মী বিশ্বাস যোগ্য হিসাবে চাকরি পেয়েছিলেন। তৃণমূল সরকার নিজেদের পিঠ বাঁচাতে লক্ষ্মী বিশ্বাসের নাম অযোগ্যদের তালিকায় তুলেছে। ক্ষমতা থাকলে লক্ষ্মী বিশ্বাসের ও এম আর মার্কশিট প্রকাশ করুক। এছাড়া লক্ষ্মী বিশ্বাস যে স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা। তাঁর সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের মতানৈক্য হত। সেই কারণে ষড়যন্ত্র করে লক্ষ্মী বিশ্বাসের নাম অযোগ্যর তালিকায় নাম তোলা হয়েছে। আমরা আইনের প্রতি আস্থাশীল। আইনের পথে লক্ষ্মী বিশ্বাস প্রমান করবেন তিনি যোগ্য’।
কুসুম্বা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ মণ্ডল বলেন, “উনি কলিঠা স্কুল থেকে মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে এসেছিলেন। আমরা কারও নাম শিক্ষা দফতরে পাঠায়নি। এনিয়ে কারও অভিযোগের উত্তর আমি দেব না”। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “আমরা আগেও বলেছি বিজেপি-তৃণমূল একে অপরের পরিপূরক। ওই দুই রাজনৈতিক দল তলে তলে এক। মানুষকে বিভ্রান্ত করে ভোট বৈতরণী পার হচ্ছে ওরা। অযোগ্যদের তালিকাই তার প্রমান”।