ব্যতিক্রমী দায়িত্ব বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরাকে। মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার দেশজুড়ে লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে প্রচারাভিযান সংকল্প নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবার পদ্ম শিবিরের চোখ বাংলার জঙ্গলমহলে। জঙ্গলমহলের চার জেলায় মোদী সরকারের উন্নয়নমুখী প্রকল্পের প্রচার চালাবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এখানের চার কেন্দ্রেই রয়েছে বিজেপির সাংসদ। ফের সেই আসনগুলিতে জয় পাওয়াই পদ্মশিবিরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে অভূতপূর্ব পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে কেন্দ্রের নানা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে চালানো হবে প্রচার। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বাংলাতেও। পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলের চার জেলায় এই মুহূর্তে ডামাডোল পরিস্থিতি। জঙ্গলমহল জুড়ে কুড়মিদের নজিরবিহীন বিক্ষোভ এখন জোর চর্চায়। তফসিলি জাতির স্বীকৃতি আদায়ে মরিয়া আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি সমাজ।
আরও পড়ুন- ‘কাকু গেছে এবার কালীঘাটের ডাকুও যাবে’, ঝোপ বুঝে কোপ মমতার একদা ছায়াসঙ্গীর
রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে তাঁদের মতবিরোধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের সভা থেকে কুড়মি সমাজের উপর খানিকটা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজেও। সব মিলিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলে বেশ রুষ্ট জঙ্গলমহলের কুড়মিরা।
আরও পড়ুন- মেয়ে নিয়ে তিহাড়ে কেমন আছেন কেষ্ট! দেখতে যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদরা
এই আবহে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাইছে বিজেপি? রাজনৈতিক মহলের একাংশ কিন্তু এখন এই প্রশ্নই তুলছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রাক্তন অনুপম হাজরা ও দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির এসটি মোর্চার জাতীয় সভাপতি সমীর ওরাও যাবেন জঙ্গলমহল সফরে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কেন্দ্রের মোদী সরকারের গত ৯ বছরের উন্নয়নমুখী প্রকল্পের প্রচার চালাবেন তাঁরা। এদিকে বাংলায় দীর্ঘ দিন পরে দলীয় দায়িত্ব পেলেন অনুপম হাজরা।
আরও পড়ুন- বোমা ফাটালেন ‘কালীঘাটের কাকু’র দাদা, অভিষেককে জড়িয়ে বিস্ফোরক দাবি
সাধারণত কেন্দ্রীয় নেতাদের তাঁদের নিজের নিজের রাজ্যে দলের কাজে নিযুক্ত করে না গেরুয়া শিবির। তবে এক্ষেত্রে অনুপম হাজরার সঙ্গে খানিকটা ব্যতিক্রম ঘটনাই ঘটেছে। তাঁর সঙ্গে দলের এসটি মোর্চার জাতীয় সভাপতি ঘুরবেন জঙ্গলমহলে। কথা বলবেন এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, ১৭ জুন থেকে ২৪ জুন টানা কর্মসূচি রয়েছে। এক এক জেলায় দুদিন করে কর্মসূচি চলবে। বাঁকুড়ায় শুরু হবে তারপর পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে ঝাড়গ্রামে শেষ হবে।
দলের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'বিজেপির রীতি অনুযায়ী কোনও রাষ্ট্র পদাধিকারীকে নিজের রাজ্যে দায়িত্ব দেওয়া হয় না। নিজের রাজ্যে ব্যতিক্রমীভাবে দায়িত্ব দেওয়ায় আমি খুশি। নাড্ডাজিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সম্প্রতি কুড়মি আন্দোলন-সহ জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির। এই কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'