Success Story: হার না মানা লড়াইয়ে দৃষ্টান্ত বাংলার দুই বোনের, বিরাট উদ্যোগে বিদ্যুৎ বিল হবে অর্ধেক

Success Story: দুই কন্যার সংগ্রামকাহিনী হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। বাঙালি নাকি ব্যবসা বোঝে না এই প্রবাদকে ভূল প্রমাণ করে চুঁচুড়ার দুই বোন সম্পূর্না আর সম্রাজ্ঞী নিজেদের প্রচেষ্টায় দিল্লি রোডের ধারে গড়ে তুলেছে বিরাট কারখানা।

author-image
Uttam Dutta
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Bldc fan

'বাংলার পাখা বাংলার হাওয়া' এই ট্যাগলাইন ব্যবহার করে তাঁরা টিফোজ নামে একটি বৈদ্যুতিক ফ্যানের কোম্পানি খুলেছেন এই দুই বিদূষী কন্যা। ছবি-উত্তম দত্ত

Success Story: দুই কন্যার সংগ্রামকাহিনী হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। বাঙালি নাকি ব্যবসা বোঝে না এই প্রবাদকে ভূল প্রমাণ করে  চুঁচুড়ার দুই বোন সম্পূর্না আর সম্রাজ্ঞী নিজেদের প্রচেষ্টায় দিল্লি রোডের ধারে গড়ে তুলেছে বিরাট কারখানা। তাঁদের ইলেকট্রনিক ফ্যানের কোম্পানি ইতিমধ্যে বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছে। 

Advertisment

একসময় হুগলির দিল্লি রোডের ধারে গড়ে উঠেছিল রাজ্যের জনপ্রিয় কম্পিউটার ব্র্যান্ড আমার পি সি। কিন্তু কোয়ালিটির সঙ্গে সমঝোতা না করতে পেরে অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়ে সেই কোম্পানি। বাম আমলের সেই কারখানাটি ছিল তৎকালীন উদ্দোগপতি শান্তনু ঘোষের। কোম্পানি উঠে গেলেও কারখানাটি ছিল। এবার বাবার সেই কারখানাতেই B L D C ফ্যান তৈরি করছেন তাঁরা। (BLDC stands for Brushless Direct Current. BLDC fans are ceiling fans that use a brushless DC motor to drive the fan blades. They are also known as energy-saving fans.)   'বাংলার পাখা বাংলার হাওয়া'  এই ট্যাগলাইন ব্যবহার করে তাঁরা টিফোজ নামে একটি বৈদ্যুতিক ফ্যানের কোম্পানি খুলেছেন এই দুই  বিদূষী কন্যা। 

এদিন তাঁরা রকেট ব্র্যান্ড নাম দিয়ে তাঁদের তৈরি পাখা কমার্শিয়াল ভাবে বাজারে নিয়ে এলেন। এদিন দিল্লি রোডের ওই কারখানা চত্বরে বসে ছিল চাঁদের হাট। দুই বোনের কর্মকান্ডকে স্বীকৃতি দিতে এদিন দুপুরে আসেন কারখানায় রাজ্যের তিন মন্ত্রী। বেচারাম মান্না, উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং জাভেদ খান। ছিলেন রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক। 

Advertisment

কীভাবে গড়ে উঠলো এই কারখানা? বলতে গিয়ে সম্পূর্না জানান, তাঁরা দুইবোন ছোট থেকেই বাবার কাছে এই শিক্ষা পেয়েছেন যে পড়াশোনার পাশাপাশি এমন কিছু করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়। আমি বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করি। বোন সম্রাজ্ঞী কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে এমবিএ করছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা বছর খানেক আগে থেকেই এই ব্যবসায় নামি। তার আগে আমাদের এখান থেকে কলকাতার বড় বড় ফ্যান কোম্পানি গুলির কিছু যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হত। এরপর আমরা চিন্তা করলাম নিজেরা তৈরি করলে কেমন হয়? একবছর ধরে আমরা বাজারে এই ফ্যান নিয়ে সার্ভে করেছি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আমরা ডিলারশিপ দিয়েছি। প্রায় ৬২০০০ ফ্যান মার্কেটে ছাড়ার পর কোন খারাপ রিপোর্ট পাইনি। তাই আজ আমরা রকেট ৯৯৯ নামে এই B L D C পাখার বাণিজ্যিক ভাবে উদ্বোধন করলাম। আমাদের কাছে ৯৯৯  টাকা থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত দামের BLDC পাখা বিভিন্ন রকমের আছে। এক্সচেঞ্জ অফার আছে।

তিনি আরও বলেন, 'পুরোনো যেকোন সিলিং ফ্যান আমাদের কাউন্টারে দিলে সঙ্গে মাত্র ৯৯৯ টাকা দিলেই আমাদের নূন্যতম মূল্যের ফ্যানটি ক্রেতা সংগ্রহ করতে পারবেন।  বাজারে এই ধরণের পাখা যথেষ্ট দামি। আমরা অনেক কম দামে এই পাখা মার্কেটে এনেছি। এই পাখার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। বিদ্যুৎ কম খরচ হয়। যার ফলে ইলেকট্রিক বিল কম আসবে। আশাকরি আমাদের এই প্রোডাক্ট মার্কেটে যথেষ্ট জনপ্রিয় হবে'। 

West Bengal hooghly news