রণক্ষেত্র আমডাঙা, বাইকের শোরুমের মালিকানা বিবাদ ঘিরে ‘বোমাবাজি’

বাইকের শোরুমের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের সামনেই চলে বোমাবাজি। এ ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি।

বাইকের শোরুমের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের সামনেই চলে বোমাবাজি। এ ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bjp

আমডাঙ্গায় বুধবার ব্য়াপক বোমাবাজি হয়। এভাবেই যত্রতত্র পড়ে আছে বোমা। ছবি- এম আখতার

আবারও বোমার শব্দে কাঁপল উত্তর ২৪ পরগনা। মোটরবাইকের শোরুমের মালিকানা নিয়ে বিবাদের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল আমডাঙা। বাইকের শোরুমের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের সামনেই চলে বোমাবাজি। এ ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারা। শোরুমের কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শোরুম-সহ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের তোলাবাজির জেরেই বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি।

Advertisment

আরও পড়ুন: ‘বিজেপিকে ভোট দিলে ভাটপাড়া হয়’

কী ঘটেছে?

Advertisment

আমডাঙায় ৩৪নং জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একটি মোটরবাইকের শোরুমের দুই মালিকের মধ্যে গোলমাল বাধে। এক মালিক এসে দোকানে গোলমাল শুরু করেন বলে অভিযোগ। শোরুমের কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শোরুম ভাঙচুর করারও অভিযোগ উঠেছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ওই শোরুমের এক মালিকের থেকে টাকা আদায় করেন এক তৃণমূল নেতা। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় গোলমাল শুরু হয়। এদিন শোরুমের সামনে বোমাবাজি হয়। ওই এলাকাতেই রয়েছে একটি স্কুল। বোমাবাজির ঘটনার জেরে স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুল পড়ুয়ারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশের বিশাল বাহিনী। এলাকায় মোতায়েন করা হয় র‌্যাফ।

আরও পড়ুন: অর্জুন সিংয়ের বাড়ি লক্ষ্য করে ‘গুলি-বোমাবাজি’

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর থেকেই তেতে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল এলাকা। বারবার বোমার শব্দে কেঁপে উঠেছে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া। রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণও হারিয়েছেন কয়েকজন। পঞ্চম দফার লোকসভা নির্বাচনে আমডাঙার তেঁতুলিয়া গ্রামে অর্জুন সিংকে ঘিরে তৃণমূলের বিক্ষোভ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অর্জুনকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি বহু গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। হামলা থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। হামলার ঘটনায় জখম হন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার দুই প্রতিনিধি জয়প্রকাশ দাস ও শশী ঘোষ। সেই ঘটনার পর এদিনের বোমাবাজির ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল আমডাঙায়।

West Bengal