সপ্তমে চড়ল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। মুখ্যমন্ত্রীর ঢঙেই এবার সুর চড়ালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের হুমকি, একাংশের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ব্রাত্য। একইসঙ্গে রাজ্যপালের সরাসরি বার্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। ''উনিই বিচারক এবং উনিই ফাঁসুড়ে।" ব্রাত্য বসুর এমন মন্তব্যে জোরদার জলঘোলা। সিভি আনন্দ বোসকে বিঁধে ব্রাত্য বসু আর যা যা আজ বললেন, তা ঘিরে চর্চা তুঙ্গে।
উপাচার্যদের একাংশকে বিঁধে রাজ্যপালের বক্তব্য প্রসঙ্গে কী বললেন ব্রাত্য বসু?
"উনি বলছেন ছাত্রীদের হেনস্থা ও দলীয় কার্যকলাপের জন্য বেশ কয়েকজন উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছেন। উনি কি কারও সঙ্গে কথা বলেছিলেন? অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন? ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন রাজ্যপাল। উনিই বিচারক এবং উনিই ফাঁসুড়ে। সম্মানীয় উপাচার্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। মিথ্যা অভিযোগ এনে পণ্ডিত মানুষদের সম্মানহানি করছেন। এতজন বাঙালি শিক্ষাবিদকে অপমান করে কী লাভ হল আচার্যের? উনি যাঁদের নিয়োগ দিচ্ছেন তাঁরাই ধোয়া তুলসিপাতা? আর বাকিরা খারাপ?"
আরও পড়ুন- প্রতিশ্রুতিতেই ডুবন্ত ধূপগুড়ি টেনে তুললেন অভিষেক, ‘২৪-এর আগে আগুনে জয় তৃণমূলের
রাজ্যপালের রাতারাতি অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগেও রেগে কাঁই ব্রাত্য! এপ্রসঙ্গে তিনি কী বললেন?
"একই অঙ্গে দুই রূপ রাজ্যপালের। সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন রাজ্যপাল। উনি ইচ্ছামতো লোকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বসালেন। যাঁদেরকে উনি বসালেন তাঁরা কি সন্দেহের ঊর্ধ্বে? পড়ানোর সঙ্গে একেবারে যুক্ত নন এমন লোককেও উনি উপাচার্য হিসেবে কাজ করার অধিকার দিচ্ছেন। ইউজিসি-র নির্দেশিকাতেও এটা নেই। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কোনও সুযোগ নেই। রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীকে অগ্রাহ্য করার পাশাপাশি ইউজিসি, আদালতকেও অপমান করছেন রাজ্যপাল। আইন গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। পুতুল খেলা খেলছেন রাজ্যপাল।"
আরও পড়ুন- রাজ্যপালে চটে লাল তৃণমূল আমলে নিযুক্ত উপাচার্যরা! তুমুল প্রতিবাদে বেনজির পদক্ষেপ
জন্মাষ্টমীর দিন সরাসরি বার্তায় রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর অভিযোগের মধ্যে অন্যতম ছিল উপাচার্য-হেনস্থা। তাঁর নিয়োগ করা পাঁচজন উপাচার্যকে হেনস্থা-হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। এক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশকে দায়ী করেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এপ্রসঙ্গে ব্রাত্য বসুর জবাব…
"ওঁর নিয়োগ দেওয়া উপাচার্যদের নাকি হুমকি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন রাজ্যপাল। আমরা কিন্তু ওই পাঁচ উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি। রাজ্যপালের অভিযোগ সম্পর্কে ওঁদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে।"