বর্ধমানে মদ্যপানে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু-মিছিল। মদ খেয়ে অসুস্থ আরও ২ জনের মৃত্যুতে শোরগোল। এই নিয়ে বর্ধমানে মদ খেয়ে বিষক্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮। আগেই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, এবার অসুস্থ থাকা মীর মেহবুব ও বাপন শেখ নামে দুই যুবকেরও মৃত্যু হল। মৃত দুই যুবকই খাগড়াগড়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
বর্ধমানের হোটেলে মদ খেয়ে মৃত্যু মিছিল জারি। গতকাল পর্যন্ত এই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এবার সেই তালিকায় যোগ হল আরও দুই যুবকের নাম। মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান কলেজ মোড় এলাকার একটি হোটেল থেকে এই দুই যুবক মদ কিনে খেয়েছিলেন। সেই মদ খাওয়ার পরেই তাঁরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পেটে অসহ্য ব্যথা থাকায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসা চলাকালীনই এই দুই যুবকের মৃত্যু হয়।
বর্ধমান শহরের বিভিন্ন হোটেলেই বেআইনিভাবে এই মদ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দিনের পর দিন ধরে এই বেআইনি কারবার কীভাবে এত রমরম করে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খাবার হোটেলে মদ বিক্রির লাইসেন্স কীভাবে মিলল? এক্ষেত্রে চূড়ান্ত অনিয়মের অভিযোগে কাঠগড়ায় খোদ পুলিশ।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ ‘২৪, তৃণমূলের কোমর ভাঙতে বঙ্গ BJP-র বাজি সেই কেন্দ্রীয় নেতারাই
তবে মদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় খানিকটা হলেও ব্যাকফুটে জেলা পুলিশ প্রশাসন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চোলাই মদের ঠেক ভাঙার কাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। গত কয়েকদিনে প্রচুর চোলাই ও বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আটকও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
অবৈধ ভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে জেলার সমস্ত থানা এলাকায় হোটেল ও ধাবায় তল্লাশি অভিয়ান জোরদার করেছে পুলিশ। গত কয়েকদিনে এভাবেই প্রচুর মদ উদ্ধার হয়েছে। বেআইনি কারবারের অভিযোগে গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে।