সাঁতরাগাছির ঘটনা থেকে কোনও শিক্ষা নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। এবার পদপিষ্টের ঘটনা বর্ধমান স্টেশনে। শুক্রবার বর্ধমান স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্মে ট্রেন ধরতে যাওয়ার হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হলেন ১১ জন যাত্রী। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে। আহত যাত্রীদের মধ্যে দু'জন শিশু ও একজন মহিলাও আছে। মহিলা যাত্রীর অবস্থা গুরুতর, এমনটাই জানিয়েছে হাসপাতাল।
রেল পুলিশ এসে সামাল দেয় গোটা পরিস্থিতি। ছবি- মনতোষ পোদ্দার
ঠিক কী হয়েছে?
শুক্রবার বর্ধমান স্টেশনের ৪ ও ৫ নম্বর প্লাটফর্মে একমাত্র সিড়ি দিয়ে নামা ও ওঠার সময় প্রচণ্ড ভিড় হয়। সেই সময় চার নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল আপ পুরুলিয়া লোকাল। এদিকে সেই সময়েই পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে ঢোকে ডাউন পূর্বা এক্সপ্রেস। ফলে দুটি ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। চরম ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে প্ল্যাটফর্মেই পড়ে যান। কিন্তু তাঁদের উদ্ধার করার আগেই সেই সকল যাত্রীদের উপর দিয়েই চলে যান অন্য যাত্রীরা। বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা বর্ধমান স্টেশন জুড়ে।
নিত্যদিনের ভিড় বর্ধমান স্টেশনে। ছবি- মনতোষ পোদ্দার
আরও পড়ুন- ‘বুলবুল’ সতর্কতা, স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের
এই দুর্ঘটনায় আহত হয় দু'জন শিশুও। আহতদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে রেলপুলিশ। কিন্তু কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল এই রেল জংশনটিতে? জানা গিয়েছে, চার ও পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামা বা ওঠার জন্য সম্বল বলতে এই একটি মাত্র সিঁড়ি। অন্য যে সিঁড়ি আছে তা এখন পুরোপুরি বন্ধ। কারণ, ওখানে চলমান সিঁড়ি তৈরির কাজ চলছে। যাত্রীদের অভিযোগ, এই রকম হুড়োহুড়ি বা ধাক্কাধাক্কি প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা। অভিযোগ জানানো হলেও উদাসীন রেল প্রশাসন। ঠিক সময়ে স্টেশনে মাইকিং করা হয় না বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীরা। ট্রেন প্লাটফর্মের ঢোকার মুহূর্তে মাইকিং করা হয় বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তাঁরা। এর আগে সাঁতরাগাছি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্য়ুর ঘটনাও ঘটেছে।