Burdwan Murder: বাংলার বুকে হাড়হিম কাণ্ড! মাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, এলাকায় তোলপাড়

Burdwan Murder:এলাকাবাসীর দাবি, দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় পরিবারের কেউই পালাতে পারেনি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

Burdwan Murder:এলাকাবাসীর দাবি, দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় পরিবারের কেউই পালাতে পারেনি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

author-image
Pradip Kumar Chattopadhyay
New Update
IMG-20250827-WA0042

ঘটনাস্থলে পুলিশ

Burdwan Murder: সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ার নিয়ে চরমে পৌছেছিল পারিবারিক শত্রুতা। তার বলি হলেন মা। গভীর রাতে পেট্রোল ঢেলে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সৎ মাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে সৎ ছেলের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম সন্ধ্যা মিস্ত্রী(৪২)। একই ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মৃত মহিলার স্বামী কৃষ্ণপদ মিস্ত্রি (৫০) এবং তাঁর ছেলে বাদল মিস্ত্রি (১৩) ও কন্যা সুমিত্রা মিস্ত্রি (১০)আগুনে পুড়ে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

Advertisment

হাড়হিম করা এই ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের উদয়কৃষ্ণপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ ছেলে বাবলু মিস্ত্রিকে পাকড়াও করেছে। তবে সেও অগ্ধিদগ্ধ থাকায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত বাবলু মিস্ত্রি হলেন কৃষ্ণপদ মিস্ত্রির প্রথম পক্ষের ছেলে।

এসডিপিও(বর্ধমান দক্ষিণ) অভিষেক মণ্ডল জানিয়েছেন,অভিযুক্ত বাবুল মিস্ত্রিকে পুলিশ আটক করেছে।সেও এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দেড় কাঠা জমি নিয়ে বাবা কৃষ্ণপদ মিস্ত্রির সঙ্গে ছলে বাবলুর বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ শত্রুতায় পরিণত হয়। তার জেরে রাতের অন্ধকারে বাইরে থেকে ঘরের দরজা তালাবন্ধ করে দেওয়ার পর ঘরে পুট্রোল ঢেলে আগুল লাগিয়ে দেওয়ার কথ বাবুল মিস্ত্রি স্বীকার করেছে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন। 

Advertisment

এলাকাবাসী কথায় জানা গিয়েছে,বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালাবন্ধ থাকায় ঘরের ভিতরে থাকা পরিবারের সদস্যরা কেউ বাইরে বের হতে পারেনি। গ্রামের লোকজন জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।সেখানেই সকালে কৃষ্ণপদ মিস্ত্রির স্ত্রী সন্ধ্যা মিস্ত্রির মৃত্যু হয়।কৃষ্ণপদ ও তাঁর ছেলে বাদলের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনার খবর পেয়ে খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ ও খণ্ডঘোষের যুগ্ম বিডিও জোৎস্না খাতুন ঘটনাস্থলে যান । তারাও ঘটনা বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। 

প্রতিবেশী সুব্রত মণ্ডল জানান, রাত দুটো চল্লিশ নাগাদ চিৎকার ও ঝগড়ার আওয়াজ শুনে সকলে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি সকলে অগ্নিদদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।আমরা তাদের হাসপাতালে পৌঁছাবার ব্যবস্থা করি“। অপর প্রতিবেশী সুবল মণ্ডল জানান, “প্রথমে ঘটনার কারণ বোঝা যাচ্ছিল না। পুলিশ এসে অনুসন্ধান শুরু করে।পুলিশের কাছেই বাবুল জানায়,(তাঁকে জায়গা জমি কম দেওয়ায় তাঁর ক্ষোভ ছিল।সেই রাগে সে ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

মৃতার ভাই হরিদাস সরকার জানান, আমার দিদি ও জামাইবাবু মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছেন। দিদি মারা গেছে।জামাইবাবু আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালেে ভর্তি আছে। বাবুল মিস্ত্রি’ই পেট্রল ঢেলে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পরিবারের সবাইকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। সম্ভবত গরে আগুন লাগাতে গিয়ে বাবলুও কোনোভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়।তার হাত ও পা পুড়ে গেছে। 

আরও পড়ুন: এসি বাসে শহরের সেরা পুজো দেখার এলাহি আয়োজন! ঢুঁ মারুন রাজবাড়ির অন্দরমহল

burdwan Murder