রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে এই কমিটি গড়তে হবে। জাতীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি এবং রাজ্য লিগাল মেম্বার সেক্রেটারিকে কমিটির সদস্য করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই কমিটি ঘরছাড়াদের বাড়ি ফেরাতে সাহায্য করার সঙ্গেই হাইকোর্টের কাছে রিপোর্টও জমা দেবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এদিনের রায়ে জানিয়েছেন যে, ভোট পরবর্তী সময়ে ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরতে প্রথমে রাজ্য লিগাল মেম্বার সেক্রেটারিকে ইমেলে আর্জি জানাবেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে কমিটির সদস্যরা স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নেবেন।
আরও পড়ুন- ‘নির্দেশ দেখে অবাক হচ্ছি, ছাড়ছি না আলাপনকে’, মোদীকে চিঠি মমতার
আদালত সাফ জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা রাজ্যের বিষয়। প্রত্যেক নাগরিকের ঘরে ফিরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে। যা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন- সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণের কাজ চলবে, বড় রায় দিল্লি হাইকোর্টের
একুশের ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই হিংসার ঘটনা খবর আসতে থাকে। যা ক্রমশ চরমে পৌঁছেছিল বলে অভিযোগ বিরোধী দলগুলোর। বিজেপি সহ অ্যান্য বিরোধী দলগুলোর দাবি, শাসক তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অত্যাচারেই তাদের বহু কর্মী, সমর্থক ঘরছাড়া। প্রাণ হারিছেন বহু। পাল্টা তৃণমূলেরও দাবি, তাদেরও বহু নেতা, কর্মী আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ছেড়েছেন। হিংসা বন্ধের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি জানান রাজ্যপাল। যা ঘিরে রাজনৈতিক তর্জা বাড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথের পরই হিংসা বন্ধের কড়া বার্তা দেন। হিংসায় মদতদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন মমতা। তবে, ভোট পরবর্তী হিংসাকে 'বিক্ষিপ্ত' বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
পরে ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। হিংসা নিয়ে শুনানিতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আদালত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে স্থানীয় পুলিশের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন