Sandeshkhali Calcutta High Court: গত শুক্রবার সন্দেশখালির জেলিয়াখালি, হালদারপাড়া সহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। বুধবার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলনেতার সঙ্গেই যেতে পারবেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কার ঘোষও। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশ, বিরোধী দলনেতা সন্দেশখালিতে গিয়ে কোনও প্ররোচনামূলক মন্তব্য করতে পারবেন না।
শুভেন্দুবাবু জানিয়েছেন, আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই (২৯.০২.২০২৪) সন্দেশখালিতে যাবেন তিনি।
এদিনের শুনানিতে রাজ্শুযের আইনজীবী আদালতে জানান যে, শুভেন্দু অধিকারী যেদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন সেদিন বহু লোকের জমায়েত হয়েছিল। ছিলেন বিজেপির স্থানীয় নেতারাও। পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছিল। একজন আইপিএসকে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমরা বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়ে মামলা করছি। তখন বিচারপতি চন্দ জানান, সেই এফআইআর নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। কিন্তু কোনও এলাকায় রাজনৈতিক ব্যক্তি গেলে ভিড় হবেই।
এছাড়া বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ, আগামী ১ মার্চ পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে ৬ জনের কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল-ও শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালি যেতে পারবে। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের শর্ত, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যেতে পারবেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের সদস্যরা। তবে মাঝে পাত্রপাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তা পেরিয়ে যেতে হবে মাঝেরপাড়ায়। এই সময়কালে পুলিশকে যথাযথ নজরদারি রাখতে হবে। ধামাখালি ফেরিঘাট থেকেই সন্দেশখালি রওনা দেবে এই কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল।
আরও পড়ুন- Locket Chaterjee: হুগলিতে বিজেপির দেওয়াল লিখন শুরু, বাদ লকেট! পদ্মফুলের অন্দরে চরম শোরগোল
১৪৪ ধারা জারির কথা বলে গত রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোজেরহাটে এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তারপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হলে তাঁদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। আটক করা হয় তাঁদের। সেই দিনই রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে এই প্রতিনিধি দল। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন। আিনের দ্বারস্থও হন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিমহা রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, আইনজীবী-সহ ৬ জন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের সদস্য সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি পেলেন।