ডিসেম্বরে প্রাথমিকে কর্মরত ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিশ্চিত হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার আরও ৫৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এখনও মোট ২৫৫ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ছিল হাইকোর্টে। নিয়োগের নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর ৫৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।বরখাস্তদের বেতনও বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে কর্মরত বাকি ২ জনের মামলা পরবর্তী শুনানির দিন হবে।
আরও পড়ুন- ‘আবাস যোজনার নামে টাকা তুলেছেন বিজেপি নেতারা’, বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
বরখাস্তরা অর্থের বিনিময়ে প্রথমিকে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। যা স্পষ্ট কের জানিয়ে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। পাশাপাশি, চাকরি খোয়ানোদের আইনজীবীদের প্রতি শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শ, তাঁদের মক্কেলরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তা তাঁরাও জানেন। কাকে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকা ফেরৎ পেতে চাইলে বিচারপতিকে জানানো যেতে পারে। টাকা নেওয়া ব্যক্তিদের হদিশ মিললে নিয়োগ দুর্নীতির আসল মাথাদের কাছে পৌঁছানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বন্দে ভারতে হামলা: পাশের রাজ্যের নাম উঠতেই নীরবতা ভাঙলেন মমতা
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে, প্রাথমি শিক্ষক পদে বেআইনি ভাবে চাকরিপ্রাপ্ত ২৬৮ জনের চাকরি বাতিল হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তরা। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, অভিযুক্তদের আবেদন কলকাতা হাইকোর্টেই শোনা হবে। হাইকোর্টেই চাকরির বৈধতার প্রমাণে নথি জমা দিতে হবে। যা খতিয়ে দেখে নির্দেশ দেবে আদালত।