প্রশাসন বাতিল করলেও বাঁকুড়ার রাইপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা হবে। সভার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির তরফে রাইপুরে আগামী ১৫ নভেম্বর সভা করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। ১০ নভেম্বর প্রথমে অনুমতি দেওয়া হলেও পরে ১১ তারিখ সেই আবেদন খারিজ করে প্রশাসন। এরপরই বিজেপি সভার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়।
কেন পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর সভা বাতিল করল? উর্দিধারীদের যুক্তি, ১৫ নভেম্বর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সভার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। এরপরই আদালতে আবেদন জানানো হয় বিজেপির তরফে।
আরও পড়ুন- বাংলায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনা: বিরাট চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন মমতা!
হাইকোর্টের নির্দেশ, রাইপুরে নির্ধারিত দিনেই বিজেপির সভা হবে। শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান। সভায় শুভেন্দুবাবুকে সিআইএসএফ-ই নিরাপত্তা দেবে। রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুকে জব্দ করতে তৃণমূলের ‘গান্ধিগিরি’! গোলাপ-কার্ড হাতে শান্তিকুঞ্জে ছাত্র-যুবরা
আদালতের নির্দেশ স্বস্তিতে পদ্ম শিবির। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত অধিকারী বলেছেন, 'আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য হল যে, স্কুলে শিক্ষকের চাকরি থেকে রাজনৈতিক সভা, সমাবেশের অনুমতিও কোর্টের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে। তাহলে প্রশাসন থাকার কী প্রয়োজন? বিরোধী দলনেতা সভা করবেন, সেই সভার অনুমতি কোর্ট থেকে নিতে হচ্ছে, এতেই প্রমাণিত হয় বাংলায় গণতন্ত্র নেই। আরও একবার কোর্ট রাজ্য সরকারের গালে চপেটাঘাত করল। কোর্ট আছে বলে বাংলায় গণতন্ত্র অবশিষ্ট আছে।'
আরও পড়ুন- ‘আমরা ক্ষমতায় আসার পরেই নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছি’, হঠাৎ কেন এমন বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
তৃণণূলের রাজ্য সব-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, 'হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে। এখানে হাইকোর্টের কয়েকজন বিচারক হঠাৎ হঠাৎ আইনের এমনসব ব্যাখ্যা করছে…। বলেছে সিআইএসএফ নিরাপত্তা দেবে। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কে টাকা দেবে? সভায় বিশৃঙ্খলা নষ্য বা কারোর প্রাণ গেলে দায় কোর্ট নেবে তো? অপ্রীতিকর কিছু হলে প্রথমে কোর্ট, পরে বিজেপি দায়ী হবে, এটা যেন স্পষ্ট হয়ে যায়।'