তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গত ১১ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলায়, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য, যাঁদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ তাঁদের থেকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমার নির্দেশ দিয়েছে আদলত।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যদের হলফনামা জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ নভেম্বর।
এই মামলার শুনানি চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধু তথা কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কাজরীর আয়ের উৎস কী? কলকাতার পুরভোটের হলফনামায় নিজেকে তিনি সমাজকর্মী বলে উল্লেখ করেছেন। আবার বেশ কয়েকটি সংস্থাতেও তাঁর নাম রয়েছে বলে মামলাকারীর দাবি। তাহলে কাজরীদেবীর আয়ের প্রকৃত উৎস কী তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘বাতেলা দিচ্ছি, অথচ পদ আঁকড়ে রয়েছি’, বিস্ফোরক তাপস, কাদের নিশানা তৃণমুল বিধায়কের?
মামলাকারী আইনজীবী অরিজিৎ মজুমদার। তাঁর আইনজীবী বিজেপি নেতা তিওয়ারি। ফলে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
অভিযোগ, ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে। যার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন অরিজিৎ মজুমদার। কীভাবে গত ১১ বছরের কয়েকগুণ সম্পত্তি বেড়ে গেল তা নিয়েই মামলা হয়।
যদিও গত ২৯ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উধযাপন অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাব করেছিলেন যে, তাঁর বাড়ি যে জমিতে অবস্থিত সেটা রানি রাসমনির সম্পত্তি। তাঁরা ঠিকা প্রজা। পরিবারের অন্যান্য দাদা, ভাইরা সকলে আলাদা বসবাস করেন। কখনও-সখনও দেখা হয়। উৎসবের দিনে, কালী পুজোয় বা রাখিতে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়ে থাকে।