লটারি-রহস্যের কিনারা করতে মরিয়া সিবিআই। আসানসোল আদালতের অনুমতি নিয়ে ফের জেলে গিয়ে জেরা অনুব্রত মণ্ডলকে। সত্যিই কি তিনি লটারি কেটেছিলেন? নাকি কালো টাকা সাদা করতেই লটারি-তত্ত্ব সামনে আনা হয়? তা জানতেই আজ কেষ্টকে জেরা সিবিআইয়ের তিন দুঁদে অফিসারের।
অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই জালে ধরা পড়ার বেশ কিছুদিন আগে অর্থাৎ চলতি বছরের শুরুর দিকে লটারিতে তাঁর এক কোটি টাকা পুরস্কার জেতার খবর সামনে আসে। কেষ্টর লটারিতে কোটি টাকার পুরস্কার জয় নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই মাঠে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বোলপুরের এক লটারি ব্যবসায়ীকে কলকাতায় ডেকে পাটায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য মেলে।
জানা গিয়েছে, এরপর বীরভূম জেলার বেশ কয়েকজন লটারি বিক্রেতার নাম উঠে আসে। অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটরিতে কোটি টাকা ওঠার বিষয়টি যাচাই করে দেখতে বোলপুরের লটারি এজেন্সির দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসেছেন গোয়েন্দারা। তাতেও মিলেছে বেশ কিছু তথ্য।
শুক্রবার লটারি রহস্যভেদে তৎপরতা তুঙ্গে তোলে সিবিআই। বোলপুরের এক লটারি বিক্রেতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তাঁরই দোকান থেকে অনুব্রত মণ্ডলের নামে লটারিতে কোটি টাকা পুরস্কার ওঠে বলে খবর। গতকাল তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, তখনই বিস্ফোরক দাবি করে বসেন ওই লটারি বিক্রেতা।
আরও পড়ুন- পদ্মে পা বাড়াচ্ছেন তৃণমূলের এই দাপুটে বিধায়ক? পোস্টার ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
সিবিআই প্রশ্ন-পর্ব সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি লটারির টিকিট বিক্রি করেননি। তিনি বলেন, ''আমার হাত থেকেই টিকিট বিক্রি হয়েছিল। তবে কে নিয়েছিল তা জনি না। অনুব্রত মণ্ডল ওই টিকিট নেননি।'' তবে কি কেষ্টর হয়ে লটরির টিকিট কিনছিলেন অন্য কেউ? বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন- রাফ অ্যান্ড টাফ অভিষেক! পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই কৌশল বাতলে দিলেন
খোদ লটারি বিক্রেতার মুখ থেকে এই ধরনের বক্তব্য উঠে আসায় আর দেরি করতে চায়নি সিবিআই। শনিবারই লটারি রহস্যের কিনারা করতে আসানসোল আদলতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে জেরার আবেদন জানায় সিবিআই। আদালতের অনুমতি নিয়েই শেষমেশ সিবিআইয়ের তিন দুঁদে অফিসার পৌঁছে যান জেলে। লটারি-জট কাটাতে জেলেই জেরা বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে।