রামপুরহাট গণহত্যার তদন্তের গতি আরও বাড়াল সিবিআই। এবার নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখলাল ও মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দাদের। ঘটনার দিন বগটুই গ্রামে টোটোয় বোমা ও পেট্রোল আনার অভিযোগ উঠেছে। পরে 'অপারেশন' শেষ করে ওই টোটোয় চেপেই নাকি গ্রাম ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।
এই অভিযোগের সত্যতা প্রসঙ্গে শেখলাল ও মিহালালের সঙ্গে কথা তদন্তকারীদের। এদের পাশাপাশি অভিযোগ প্রসঙ্গে বগটুই গ্রামের আরও কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গেও কথা সিবিআই গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।
আরও পড়ুন- সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনায় উদ্বেগ, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিশিষ্টদের
৭ এপ্রিলের মধ্যে বগটুই গণহত্যার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই কারণেই তদন্তের গতি আরও বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কোমর বেঁধে বগটুই কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। দফায়-দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে প্রত্যক্ষদর্শীদের। জেরা চলছে চলছে ধৃতদেরও। এরই পাশাপাশি বগটুই গ্রামে গিয়েও তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শী ও ঘটনায় ধৃতদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। পরে সেই বয়ান মিলিয়েও দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এদিকে, রবিবার সকালে বগটুই গ্রামে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। জানা গিয়েছে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনে মূল অভিযুক্ত পলাশ শেখের বাড়ির পাশে বোমা পুঁতে রাখার খবর পায় পুলিশ। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ডাকা হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।