ভোলে ব্যোমের পর এবার বোলপুরের শিবশম্ভু রাইস মিলে সিবিআই হানা। এই রাইস মিলটির সঙ্গেও অনুব্রত মণ্ডলের যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ সিবিআইয়ের। রাইস মিলটির মালিকানা কার? খতিয়ে দেখতেই তল্লাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এই চালকলটি চালাতে গরু পাচারের টাকার ব্যবহার করা হয়েছে কিনা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের।
নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, এমনই দাবি সিবিআই সূত্রের। বীরভূমের পাশাপাশি কলকাতা শহরেও সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন কেষ্ট মণ্ডল, এমনও দাবি সূত্রটির। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য হাতে পেয়েছে সিবিআই। এর আগে বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে হানা দিয়েছেলিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ওই মিলটিতে অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ও কন্যার অংশীদারিত্ব ছিল বলে দাবি সিবিআই সূত্রের।
সোমবার বোলপুরের আরও একটি মিলে যায় সিবিআই। শিবশম্ভু নামে এই রাইস মিলটিতে অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নের অংশীদারীত্ব রয়েছে বলে সন্দেহ সিবিআইয়ের। তবে এব্যাপারে পাকা প্রমাণ জোগাড়ের জন্য মিলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ তদন্তকারীদের। গরু পাচারের টাকাতেই এই রাইসমিল? রাইস মিলের আড়ালে অন্য কারবার? মিলে ঢুকে যাবতীয় নথি দেখে সেটাই বোঝার চেষ্টা তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন- ‘CBI-কে বিশ্বাস করে ন্যায় পাইনি’, অবস্থানে অনড় থেকে ফের সরব দিলীপ
উল্লেখ্য, নামে-বেনামে কলকাতা ও বীরভূমে সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই সূত্রের। অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের একাধিক সদস্যের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে বলেও সূত্রের দাবি। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতার সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কে মোট ১৮টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে রকেট গতিতে কেষ্ট মণ্ডলের সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র ৩ বছরে নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন কেষ্ট, এমনই দাবি সূত্রের।