এবার সিবিআই স্ক্যানারে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সুপার ও এক চিকিৎসককে নোটিশ সিবিআইয়ের। ঠিক কী কারণে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক? সেটাই জানতে চান তদন্তকারীরা।
বেজায় ফাঁপড়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বু্দ্ধদেব মুর্মু ও চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। গরু পাচার মামলায় একের পর এক সিবিআই তলব এড়িয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতাকে 'ঢাল' করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।
গত সোমবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে তলব করা হলেও সেখানে না গিয়ে সটান এসএসকেএম হাসপাতালে ঢুকে পড়েন অনুব্রত। তবে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তাঁর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। বোলপুরে ফিরে গেলে তাঁকে দেখতে আবার বাড়ি ছোটেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।
আরও পড়ুন- ভোররাতে নিজাম প্যালেসে অনুব্রত, ক্ষণিকের বিশ্রামের পর আজই শুরু জেরা
অভিযোগ, ওই চিকিৎসক অনুব্রত মণ্ডলকে 'বেডরেস্ট' নেওয়ার পরামর্শ সাদা কাগজে লিখে দিয়েছেন। একটি অডিও ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই অডিও ক্লিপিংটির সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। সেই ক্লিপিং অনুযায়ী চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর দাবি, ''হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর নির্দেশেই নাকি তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা করেছেন।'' এক কথায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তিনি অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে দেখেছেন বলে পরে একাধিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
এবার অনুব্রতকে দেখতে যাওয়া সেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী ও বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুকে নোটিশ সিবিআইয়ের। ঠিক কী কারণে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করতে বাধ্য হলেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক? দুই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেটাই জানতে চান তদন্তকারীরা।