রামপুরহাটের বগটুই গণহত্যার তদন্তে সিবিআই। ঘটনার দিন রাতের অভিজ্ঞতা জানতে এবার রামপুরহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শুধু এই দুই পুলিশ অফিসারই নন, দমকলের ওসি-কেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রামপুরহাট কাণ্ডে তদন্তের জাল গোটাচ্ছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও সরকারি কর্মীর বয়ান রেকর্ড করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই ফোনগুলি থেকে ঘটনার কোনও সূত্র মেলে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ওই ফোনগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, রামপুরহাটকাণ্ডের তদন্তে বৃহস্পতিবার ফের একবার বগটুই গ্রামে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। ঘটনায় অভিযুক্ত লালন শেখের বাড়িতে গিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধারের চেষ্টাতেই গিয়েছিলেন তাঁরা। এদিন লালন শেখের বাড়িটি সিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বগটুইয়ের ভাদু শেখ হত্যায় গ্রেফতার আরও ২, নিহত উপ-প্রধানের বাড়িতে CBI গোয়েন্দারা
অন্যদিকে, বগটুইয়ে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনে ভাসান শেখ ও সফিক শেখ নামে আরও দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রামপুরহাট আদালত দুই অভিযুক্তের ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সব মিলিয়ে বড়শাল পঞ্চায়েতর উপ প্রধান ভাদু শেখ খুনে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এদিকে, বগটুইয়ের গণহত্যায় বিরোধীদের নিশানায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ঘটনায় ধৃত রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের মুখেও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। তবে কে বা কারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তা স্পষ্ট করেননি তিনি। বগটুইকাণ্ড নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও নানা গুঞ্জন। এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির। যা ঘিরে অনুব্রতকেই পাল্টা আক্রমণ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার একটি লেখা প্রকাশ্যে আসে, যা গত বছরের জুন মাসের ১০ তারিখ বিধায়কের তরফে দলের জেলা সভাপতিকে লেখা। ওই লেখায় উল্লেখ রয়েছে যে, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে যেন আনারুল হোসেনকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বচান পর্যন্ত সরানো না হয়। সেই লেখা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেই দাবি করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।