Advertisment

কোমর বাঁধছে CBI, নিহত তপন দত্তের স্ত্রী-মেয়ের থেকে মিলল 'রোমহর্ষক' তথ্য

হাইকোর্টের নির্দেশে বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের তদন্তভার হাতে নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।

author-image
Joyprakash Das
New Update
cbi talks with murdered tmc leader tapan duuta's family members

নিহত তপন দত্তের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা সিবিআইয়ের।

২০১১-এর ৬ মে। খুন হন হাওড়ার বালির জলাভূমি নিয়ে আন্দোলনকারী তৃণমূল নেতা তপন দত্ত। তখন সবেমাত্র রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে পরিবর্তনের সরকার। দীর্ঘ এক যুগ পরে ৯ মে ২০২৩ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজির নিহতের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত ও পরিবারের অন্যরা। ফের তাঁরা অভিযোগ করলেন রাজ্যের পুলিশ সঠিক তদন্ত করেনি। খুনিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপাতত সিবিআইতেই তাঁরা ভরসা রাখছেন।

Advertisment

অবশেষে বালির তৃণমূল কর্মী তপন দত্ত খুনের মামলার তদন্ত শুরু করল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অবশ্য হাইকোর্টের নির্দেশও পেরিয়ে গিয়েছে কয়েক মাস। আজ, মঙ্গলবার সিবিআই দফ্তরে আসেন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত, মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও ভাই দীপক দত্ত।

সেই ঘটনায় পরো বিবরণ ও কারা কারা কীভাবে এই খুনের সঙ্গে জড়িত সেই সব তথ্য জানতে আজ তপন দত্তের পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে। তাঁদের বয়ান নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে তাঁরা বেরিয়ে যান। গত বছর জুনে তপন দত্ত খুনের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তারপর প্রতিমা দত্তের বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা।

তপন দত্তের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দত্ত বলেন, 'তদন্তকারীরা আমাদের কাছে জানতে চাইলেন কী ঘটনা ঘটেছিল। হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের রায় দেওয়ার পর প্রায় এক বছর হতে যাচ্ছে। এর আগে সিবিআই আধিকারিকরা আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন, কথাও হয়েছিল। কিন্তু এবার অনেকটা সময় নিয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হল। ঘটনার বিস্তারিত জানলেন তাঁরা।' তবে সিআইডি বা রাজ্য পুলিশকে বিঁধতে ছাড়ল না প্রিয়াঙ্কা।

আরও পড়ুন- কেষ্টর জেলাতেও ব্যালট-বিশৃঙ্খলা, অভিষেক সভা ছাড়তেই তুমুল মারামারি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর

তদন্ত নিয়ে সিআইডি বা বালি থানার যে পুলিশের বিরুদ্ধে এদিনও ক্ষোভ উগরে দিলেন তপন দত্তের মেয়ে। তাঁর অভিযোগ, 'রাজ্য পুলিশের গাফিলতি ছিল। যার জন্য এতটা দেরি হয়েছে। এটুকু আমরা বুঝতে পারলাম।' জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদে আন্দোলন করেছিলেন তপন দত্ত। প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছিলেন কোন দিন কী ঘটনা ঘটেছিল। সেই সম্পর্কে আমরা কী জানি। জলাভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে লড়াইটা ছিল, সেই সম্পর্কেই ওঁরা জানতে চেয়েছেন। আমরা সব তথ্যই ওঁদের কাছে রেখেছি। ১১ বছর পর রায় পেয়েছি সিবিআই তদন্ত হবে। ওঁদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝতে পারলাম কোর্টের রায় পাওয়ার পরেও সাত-আট মাস পর ওঁদের হাতে অর্ডার কপি এসেছে। হাইকোর্টের উপরে ভরসা রেখেছিলাম। ওঁদের উপরেও ভরসা রাখবো।'

আরও পড়ুন- কবিপ্রণামে বঙ্গে শাহ, নাম না করে কটাক্ষ মমতার, তুললেন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর প্রসঙ্গও

অন্যদিকে, এদিন নিহত তপন দত্তের ভাই দীপক দত্তও এসেছিলেন সিবিআই দফতরে। তাঁর দাবি, 'রাজ্য পুলিশ কোনওভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে না। রাজ্য পুলিশের সম্পূর্ণ গাফিলতি ছিল। কারণ এর মধ্যে নেতা-মন্ত্রী জড়িত। তাঁদের বাঁচানোর জন্য সম্পূর্ণ তদন্তটাকে ওরা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। আজকে আমরা সিবিআই-এর কাছে আসতে পেরে এবং সিবিআই এর ডকুমেন্টস দেখে যেগুলো বুঝতে পারছি সিবিআইকে রাজ্য সরকার কোনওভাবে সহযোগিতা করেনি। আমাদের বিশ্বাস, ভরসা সিবিআই তদন্ত করছে যারা অন্যায় করেছে তার উপযুক্ত শাস্তি পাবে।'

tmc West Bengal Murder cbi
Advertisment