জেলবন্দি কেষ্টর বিড়ম্বনা আরও বাড়ল। গরু পাচার মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে এই মুহূর্তে জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এবার সেই সিবিআই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও কেষ্টকে হেফাজতে চায়। অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে পেতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। সোমবার সিবিআইয়ের সেই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গরু পাচার মামলার পাশাপাশি রাজ্যে একুশের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও আষ্ঠেপৃষ্টে জড়িয়েছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নাম। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেষ্টকে একাধিকবার তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু বারবার শারীরিক অসুস্থার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন কেষ্ট। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে বলে আশঙ্কা করে এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা।
অনুব্রত মণ্ডলকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আইনি রক্ষাকবচ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কেষ্ট মণ্ডলকে গ্রেফতারের মতো কঠিন পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করে উচ্চ আদালত। সেই কারণেই রজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় একাধিক সাক্ষীর বয়ানে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠলেও তাঁকে হেফাজতে নিয়ে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছে না সিবিআই। অনুব্রতকে দেওয়া হাইকোর্টের আইনি রক্ষাকবচকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশন নিয়ে আগামিকাল শীর্ষ আদালতে শুনানির সম্ভবানা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোটা পরবর্তী হিংসা মামলায় আইনি রক্ষাকবচ পেয়ে গরু পাচার মামলাতেও হাইকোর্টে একই আবেদন জানিয়েছিলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। যদিও এই মামলায় তাঁর সেই আবেদন ধোপে টেকেনি। অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুরের বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্তমানে একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসনের সঙ্গে আসানসোল সংশধোনাগারে বন্দি রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিবিদ অনুব্রত মণ্ডল।