ডিসেম্বরে বড় চোর বা ডাকাত ধরা পড়বে বলে বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কে গ্রেফতার হবে, নাম না বলে ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টাও করছেন। এরইমধ্যে তিনি ফের ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন ১০০ দিনের কাজের টাকার দুর্নীতি নিয়ে। শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের দাবি, এই দুর্নীতিতে বাংলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ জড়িত। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন জেলা প্রশাসনের কর্তারাও রয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
তাঁর দাবি, 'কয়েকজন বিডিও থেকে জেলাশাসকও যুক্ত আছেন এই প্রকল্পের দুর্নীতিতে।' তাছাড়া তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্য, নির্মাণ সহয়ক এবং জব কার্ডের সুপারভাইজারদের একটা বড় অংশ এই নয়ছয়ে যুক্ত বলেও দাবি শুভেন্দুর।
শুভেন্দুর বক্তব্য, '১০০ দিনের কাজে আগের সরকারের সময় থেকে অদ্যাবধি ৪০ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য। এই ৪০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা গত ১৫ বছর ধরে লুট করেছে আগের সিপিএম ও পরের ১২ বছর তৃণমূল। এতে ১০ হাজার চোর যুক্ত। কিছু নির্মাণ সহায়ক, কিছু জব কার্ডের সুপারভাইজার, তৃণমূলের কয়েক হাজার পঞ্চায়েতের সদস্য ও প্রধান, কয়েকজন বিডিও ও জেলাশাসক এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ১০ হাজার চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত, সংবিধান স্বীকৃত এই কর্মসূচির টাকা মেরেছে।'
আরও পড়ুন বাংলায় শীঘ্রই CAA কার্যকর হবে, শুভেন্দুর সুরেই ঘোষণা মোদীর মন্ত্রীর
রাজ্যে শিক্ষাসংক্রান্ত নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিক তদন্ত করছে সিবিআই। গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, এছাড়া শিক্ষা দফতরের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জেলবন্দি। এবার ১০০ দিনের কর্মসূচির দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে আদালতে জনস্বার্থের মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু বলেন, '১০০ দিনের দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত করুক। কারণ সংবিধান স্বীকৃত কর্মসূচি ১০০ দিনের কাজ। এই ফান্ড ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা, রাজস্বের টাকা। এই তদন্ত করতে পারে একমাত্র সিবিআই। এই তদন্ত চেয়ে আমি জনস্বার্থের মামলা করেছি।' শুভেন্দু জল জীবন মিশনের টাকা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, 'পরের সপ্তাহে জল জীবন মিশন নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তার জন্য় আরেকটা মামলা করব।'