পুলিশের তৎরতা রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুন। যুক্তিযুক্ত কারণ না দর্শাতে পারলে গাড়ি ফের ঘুরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। অলিগলিতেও ঘুরছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী। সোমবার থেকে যেন নয়া উদ্যমে টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়ি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, কেন্দ্রীয় দল এ রাজ্যে আসতেই লকডাউন কার্যকর করতে অতিরিক্ত তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ-প্রশাসন। এদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা নিজেদের গতিবিধি গোপন রাখছেন। তাঁরা কোথায় আছেন, কোথায় কোথায় যাবেন তা নিয়ে সতর্ক রাজ্যও।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। এই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় লকডাউনে যথেষ্ট শিথিলতা আছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই তড়িঘড়ি সোমবার ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে বাংলায়। আর এই প্রতিনিধি দলের আগমন ও কর্মপদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ আমলা তথা মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুন- বাংলার সাত জেলায় কেন্দ্রীয় দল, এ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কি সত্যি এতটাই খারাপ?
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের প্রতিনিধি দলটি এদিন কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুরের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। সূত্রের খবর, কলকাতার রাজাবাজার, বেলগাছিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে দলটির। হাওড়ার একাধিক স্পর্শকাতর এলাকাতেও পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের। তাছাড়া তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের দফতরেও যেতে পারে দলটি। আর একটি দল উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং পরিদর্শন করবে। সেখানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, জ্যোতিনগর, কালিম্পং যেতে পারে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তবে এই দলের প্রতিনিধিদের গতিবিধি অত্যন্ত গোপন রাখা হয়েছে। সে ভাবে তাঁদের আগাম কর্মসূচি স্থানীয় পুলিশও জানতে পারছে না বলে খবর।
লকডাউন ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছে না বলে নবান্নকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় দল ইতিমধ্যে নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেছে। লকডাউন সফলকরতে এদিন পুলিশ অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করছে। রাস্তায় যে কোনও গাড়ি দেখলেই দাঁড় করাচ্ছে। কেন বেরিয়েছেন, কোথায় যাচ্ছেন তা জানতে শুধু চাইছে না, উপযুক্ত নথি না দেখাতে পারলে ফিরিয়ে দিচ্ছে আগের অবস্থানে। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে ছাড় মিলছে না। ফোন করে তথ্য মিলিয়ে দেখছেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। সব মিলিয়ে বজ্র আঁটুনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন