করোনা মোকাবিলায় আগামী ৩ মে শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। এরপর দেশের কয়েকটি জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হতে পারে। তার আগে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রেড জোন, অরেঞ্জ জোন ও গ্রিন জোনের তালিকা প্রকাশ করল স্বাস্থ্য় মন্ত্রক। কেন্দ্রের তালিকায় বাংলায় ১০টি জেলা রেড জোনের আওতায় রয়েছে। ৫ টি জেলাকে অরেঞ্জ জোনের তালিকায় রাখা হয়েছে। বাকি ৮ জেলায় কোনও সংক্রমণ না থাকায় গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অলঙ্করণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
একনজরে জেনে নিন, বাংলার কোন জেলা রেড জোন...
* কলকাতা
*হাওড়া
* উত্তর ২৪ পরগনা
*দক্ষিণ ২৪ পরগনা
*পূর্ব মেদিনীপুর
*পশ্চিম মেদিনীপুর
*দার্জিলিং
*জলপাইগুড়ি
*কালিম্পং
*মালদা
একনজরে বাংলার ৫ অরেঞ্জ জোনভুক্ত জেলা...
*হুগলি
*পূর্ব বর্ধমান
*পশ্চিম বর্ধমান
*নদিয়া
*মুর্শিদাবাদ
আরও পড়ুন: বাংলায় করোনায় মৃত বেড়ে ৩৩, ৭২ জনের মৃত্য়ু অন্য় কারণে: মুখ্য়সচিব
অলঙ্করণ: অভিজিত বিশ্বাস।
পশ্চিমবঙ্গের গ্রিন জোনভুক্ত ৮ জেলা একনজরে...
* উত্তর দিনাজপুর
*দক্ষিণ দিনাজপুর
*বাঁকুড়া
*বীরভূম
*পুরুলিয়া
*ঝাড়গ্রাম
*কোচবিহার
*আলিপুরদুয়ার
দেশের মোট ১৩০ জেলাকে রেড জোনের তালিকায় রাখা হয়েছে। অরেঞ্জ জোনের তালিকায় রয়েছে ২৮৪টি জেলা। ৩১৯টি জেলাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পজিটিভ কেস, ডাবলিং রেট, টেস্টিং-সহ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই তালিকা বানানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যেসব জেলায় গত ২১ দিনে কোনও সংক্রমণ হয়নি, সেই জেলাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগে এই সময়সীমা ছিল ২৮ দিনের। কলকাতার পাশাপাশি মুম্বই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, পুণে, বেঙ্গালুরু, আহমেদাবাদের মতো মেট্রো শহরগুলোকে রেড জোনের তালিকায় রাখা হয়েছে।
অন্য়দিকে, ত্রিপুরায় কোনও রেড জোন নেই। ২টি জেলা অরেঞ্জ জোনের তালিকায় রয়েছে। ৬টি জেলা রয়েছে গ্রিন জোনের তালিকায়। অসমেও কোনও জেলা রেড জোনের আওতায় নেই। সে রাজ্য়ের ৩ জেলা অরেঞ্জ জোনে ও গ্রিন জোনের আওতায় রয়েছে ৩০টি জেলা। ওড়িশায় ৩টি জেলা রেড জোনে রয়েছে, ৬টি জেলা অরেঞ্জ জোনে ও ২১টি জেলা গ্রিন জোনে রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন