Chandannagar Heritage city: স্বাধীনতার প্লাটিনাম জুবলি! উচ্ছ্বাসে বসে চন্দননগর, হেরিটেজ নগরীর দাবি

Chandannagar Heritage city:ফরাসি আমলের ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান এবং শতবর্ষপ্রাপ্ত সাক্ষীদের সংবর্ধনা—চন্দননগর ঘিরে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো শহরবাসী।

Chandannagar Heritage city:ফরাসি আমলের ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান এবং শতবর্ষপ্রাপ্ত সাক্ষীদের সংবর্ধনা—চন্দননগর ঘিরে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো শহরবাসী।

author-image
Uttam Dutta
আপডেট করা হয়েছে
New Update

ফরাসি আমলের ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান এবং শতবর্ষপ্রাপ্ত সাক্ষীদের সংবর্ধনা—চন্দননগর ঘিরে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো শহরবাসী।

Chandannagar Heritage city: স্বাধীনতা দিবসে চন্দননগর শহরকে হেরিটেজ নগরী হিসেবে ঘোষণা করার দাবি উঠল। ইতিহাস যার পরতে পরতে তার নাম চন্দননগর। ইতিহাস জানান দেয় ১৯৪৭ সালে আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও হুগলি জেলার চন্দননগর কিন্তু তখনও ফরাসিদের অধীনে ছিল। ১৯৪৯ সালে এই চন্দননগরে নাগরিকদের নিয়ে গণভোট করিয়ে তৎকালীন ফরাসি সরকার দেখতে চেয়েছিল চন্দননগরবাসীরা ঠিক কি চায়? দেখা যায় মোট ভোটারের মধ্যে ৬০% ভোটদান হয় এবং ভোটদাতাদের মধ্যে ৯৮% শতাংশ রায় দিয়েছিলেন চন্দননগরকে ভারত সরকারের অন্তর্ভুক্ত করতে। ১৯৫০ সালের ২ মে তে চন্দননগরের বুকে তেরঙা পতাকা ওঠে। সেই হিসেবে বর্তমানে চন্দননগরে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ এবারে। 

Advertisment

সল্টলেক সেক্টর ফাইভে বিরাট আগুন, পরপর বিস্ফোরণে তুমুল আতঙ্ক

প্লাটিনামবর্ষ কে সামনে রেখে চন্দননগর কে বিশ্বের আঙিনায় তুলে ধরতে বিশেষ ভাবে সচেষ্ট হয় চন্দননগর গভর্মেন্ট কলেজ এবং ওই কলেজের প্রাক্তনী সংসদ। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন থেকে শুরু করে প্রভাতফেরি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয়। এদিন ওই কলেজের অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকার জানান, এদিন তাঁরা রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে লিখিত ভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন চন্দননগরকে হেরিটেজ নগরী হিসেবে ঘোষণা করার, তাঁর কথায় চন্দননগর অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। বহু বিপ্লবীর জন্মস্থান, কর্মস্থান এই শহর। স্বাধীনতা সংগ্রামে এই শহরের ভূমিকা বিশাল, এছাড়া ফরাসি স্থাপত্য এই শহরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, যা সংরক্ষণ করা অবশ্য প্রয়োজন, এবং সেই সমস্ত দর্শনীয় স্থান অবশ্যই পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষিত হয়ে উঠবে।

সাত বছর আগে প্রয়াত মা, কাকে সাফল্য উৎসর্গ করল মাতৃহারা মহম্মদ সেলিম?

Advertisment

 চন্দননগর কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস সরকার দীর্ঘদিন ধরেই এই শহরকে নিয়ে ভীষণ উৎসাহী বিশেষ করে এই শহরের ইতিহাসকে নিয়ে। তাঁকে যথার্থ সঙ্গ দিচ্ছেন প্রাক্তনী সংসদের সদস্যরা। মূলত তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত একমাস ধরে চন্দননগর শহরের আনাচে কানাচে ঘোরাঘুরি করে প্রায় পঞ্চাশ জন এরকম ব্যক্তিকে খুঁজে পেয়েছেন যাঁরা এই শহরের স্বাধীনতা চাক্ষুস উপভোগ করেছেন। এঁদের কারোর বয়স আশির উপর, কেউ কেউ শতায়ু ছুঁয়েছেন। তাঁদেরকে এদিন বিকেলে কলেজের অডিটোরিয়ামে সংবর্ধিত করা হয়। এছাড়া কলেজের সংগ্রহশালায় বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য জিনিস প্রদর্শনী করা হয় যেগুলি প্রাক স্বাধীনতা যুগের বা দেশ স্বাধীনের সমসাময়িক। এই মধ্যে বিলিতি অর্গান, বেলজিয়াম গ্লাসের মোমদানি, পানপাত্র, ফরাসি আমলের ওয়াটার ফিল্টার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্যবহৃত জিনিস, ফরাসি দুষ্প্রাপ্য চিঠি ও দলিল সবই আছে।

news of west bengal news in west bengal Chandannagar