Malda news: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে এক রোগীমৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে উঠল মালদার মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল। বুধবার দুপুরে এই খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় মানিকচক থানার পুলিশ। কিন্তু মৃত রোগীর পরিবার ও একাংশ গ্রামবাসীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে বলে অভিযোগ।
এমনকি সংশ্লিষ্ট সরকারি গ্রামীণ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের আটকে রেখেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। রোগীদের মারমুখী ও উত্তেজনার ভয়ে বেশ কিছু নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই গ্রামীণ হাসপাতাল থেকেও পালিয়ে যান। তবে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে মানিকচক থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত রোগীর নাম শফিকুল ইসলাম (৩৫)। তিনি পেশায় একজন টোটো চালক ছিলেন। মানিকচক থানার বড় বাগান এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। এদিন ভোররাতে সামান্য জ্বর নিয়ে পরিবারের সদস্যরা শফিকুল ইসলামকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিযোগ ভর্তি করার পর শফিকুল ইসলাম সুস্থ ছিলেন।
কিন্তু তার কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসকদের তেড়ে গিয়ে মারতে যায় পরিবারের সদস্যরা। ঠিক তখনই পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে কয়েক ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
আরও পড়ুন পুলিশ সুপারের অফিসের কাছেই তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ
মৃত যুবকের দাদা বরকত আলি বলেন, শফিকুল ইসলামকে জ্বর পেটে ভাতা নিয়ে দিন ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসার নামে তাঁর ভাইকে নাক টিপে মেরে ফেলেছে। কারণ তারঁ ভাইকে ভর্তির করার পরেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হয়নি। মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই শফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। এব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।
মানিকচকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. অভীক শঙ্কর কুমার বলেন, যে পরিস্থিতিতে ওই রোগীকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। শরীরের পালস্ অনেকটাই নিচে নেমে গিয়েছিল। তবুও চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ওই রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তবে মৃত রোগীর পরিবারেরা যে অভিযোগ করেছেন তা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।