তাপস পালের মন্তব্যের জেরে সংবাদ শিরোনামে এসেছিল কৃষ্ণনগরের চৌমুহা গ্রাম। ২০১৪-য় সাংসদের সেই মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। আজ অবশ্য সব ভুলে প্রাক্তন সাংসদকে ক্ষমা করে দিয়েছে চৌমুহা। তাপস পালের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গ্রাম।
২০০৯ সালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন তাপস পাল। পাঁচ বছর পর ২০১৪ -য় ফের জয় পান তিনি। কিন্তু ভোটে জেতার পরেই বিতর্কে জড়ান সাংসদ। চৌমুহা গ্রামের একটি পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চরম অশালীন মন্তব্য করে বসেন তাপস পাল। গোটা দেশের সংবাদমাধ্যমে যা সমালোচিত হয়। যার জেরে দলের মধ্যেই চাপে পড়ে যান অভিনেতা- সাংসদ। পরে ক্ষমাও চান তিনি। সাংসদের এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেননি চৌমুহা গ্রামের মানুষও। একদা প্রিয় সাংসদের বিরুদ্ধেই সরব হন তারা।
এর পর ২০১৬ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হন তাপস পাল। প্রায় ১৩ মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। জামিনে মুক্ত হলেও আর সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে পারেননি কৃষ্ণনগরের সাংসদ। যাননি নিজের কেন্দ্রের অন্তর্গত চৌমুহা গ্রামেও। এর পর নতুন সাংসদ পেয়েছে চৌমুহা। ছ' বছর আগের সেই বিতর্কতি মন্তব্যের জন্য তাপসের প্রতি আজ আর বিরূপ নন গ্রামবাসীরা। টিভিতে প্রাক্তন সাংসদের ছবি দেখে মনে আর বিদ্বেষ পুষে রাখেননি তারা। উল্টে তাপস পালের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তার মধ্যেই যে অভিনেতা-রাজনীতিবিদের জীবনে চরম পরিণতি ঘটবে গ্রামবাসীরা তা কল্পনাতেও আঁচ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক অভিযোগ: তাপস পাল যাঁদের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের জন্যই এই পরিণতি
গ্রামের বাসিন্দা এ রহমান বলেন, 'অসাবধানতাবশত ওই দিন কুমন্তব্য করলেও এমনিতে ভাল ছিলেন সাংসদ তাপস পাল। এলাকায় আসতেন, কাজের কথা বললে করার চেষ্টা করতেন। আজ আমরা আর বাজে কোনও স্মৃতি মনে রাখতে চাইনা।' আরেক বাসিন্দা তমাল মণ্ডলের মতে, 'এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে ভাবতেও পারিনি। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন