/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/30/kaman-2025-09-30-16-35-51.jpg)
Sandhi Puja 2025: কামান দেগে সন্ধিপুজো শুরু।
Puja tradition: প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে ছাতিনাকান্দি গোপীবাবুর বাড়িতে মহাঅষ্টমীর সন্ধিপুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা কামানদাগা দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নির্ধারিত সময়ে দুটি কামান ফাটিয়ে পুজো শুরু হওয়ার দৃশ্য দেখতে এলাকাবাসী উপস্থিত হয়েছিল।
স্থানীয়দের মতে, এই প্রথা বহু প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। কথিত আছে, আগে গোপীবাবুর বাড়ির কামানের শব্দ শোনার পর আশেপাশের গ্রামের দুর্গাপুজোও শুরু হতো। আজও সেই ঐতিহ্য বজায় রেখে, মহাঅষ্টমীর পুজোর শেষের পর নির্ধারিত সময়ে কামান ফাটানো হয়, যা এলাকার দুর্গাপুজোর আনন্দ ও মর্যাদাকে দ্বিগুণ করে।
এ বছরের কামানদাগা অনুষ্ঠানেও উৎসাহ ও উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো ছিল। প্রতিটি কামানের গর্জনে মণ্ডপের ভেতরে এবং বাইরে জমায়েত হওয়া মানুষরা আনন্দে উদ্বেলিত ছিলেন। উপস্থিত অনেকেই ক্যামেরা বা মোবাইলে মুহূর্তগুলো ধারণ করেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং প্রজন্ম ধরে চলে আসা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করে।
ছাতিনাকান্দি গোপীবাবুর বাড়িতে এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পাড়া-প্রতিবেশীরাও একত্রিত হন। পুজার শুরুতে স্থানীয় যাত্রাপালার সদস্যরা গান গেয়ে ও ঢোল বাজিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। কামান ফাটানোর পর উপস্থিত ভক্তরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে, পুজোর আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
এই প্রথা দেখিয়ে চলে যে দুর্গাপুজো শুধু একদিনের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি সমাজে পারিবারিক ও ঐতিহ্যগত বন্ধনকে দৃঢ় রাখে। প্রতি বছর স্থানীয় ও আশেপাশের গ্রামের মানুষজন এই অনুষ্ঠানকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। কামান ফাটানোর সময়ের নিখুঁত সঙ্গতি ও নিয়মিত সময়সূচি অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রভাবশালী করে তোলে।
প্রতিটি কামানের শব্দ যেন অতীতের স্মৃতিকে জীবন্ত করে তুলে এবং বর্তমান প্রজন্মকে ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত রাখে। ছাতিনাকান্দি গোপীবাবুর বাড়ির এই অনুষ্ঠান দুর্গাপুজোর মর্যাদা ও ভক্তদের আবেগের একটি অনন্য প্রকাশ। এবছরও এই রীতি অব্যাহত থাকায় এলাকার মানুষদের মধ্যে আনন্দ ও উৎসবের মেজাজ চোখে পড়ার মতো ছিল।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us