রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃত শিশু সন্তানের দেহ ব্যাগে ভরে নিয়ে বাড়ি ফিরতে কার্যত বাধ্য হয়েছিলেন হতভাগ্য বাবা। শিশুর দেহ নিয়ে যেতে 'ডাকাত' অ্যাম্বুলেন্স চালকের টাকার দাবি মেটাতে পারেননি তিনি। ব্যাগে ভরে মৃত সন্তানের দেহ বাসে চাপিয়েই বাড়ি ফেরেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই সমালোচনার বন্যা বয়ে যায়। ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ নবান্নও। উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনকেও।
আবারও লজ্জার ছবি রাজ্যেরই এক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃত্যুর পর একরত্তি শিশু সন্তানের দেহ নিয়ে যেতে ৮ হাজার টাকা দাবি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকের। সেই টাকা দিতে না পেরে শেষমেশ মৃত শিশুর দেহ ব্যাগে ভরে বাসে নিয়ে ফিরতে হয়েছে অসহায় বাবাকে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনায় ফের একবার রাজ্য প্রশাসনকে বিঁধে সোচ্চার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকরী। টুইটে মৃত শিশুর বাবার অভিযোগের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু।
ফের একবার রাজ্যের সরারি হাসপাতালে স্বজনহারা দুঃস্থ পরিবারের অসহায়তার ছবি ফিরে এল। এবার ঘটনাস্থল শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতালে চিকিৎসারত ৫ মাসের পুত্র সন্তানের মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা। সেই শিশুর মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে হাসাপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মা। গত কয়েকদিনে শিশুর চিকিৎসায় তাঁর ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি।
আরও পড়ুন- ‘বেনিয়মের চাকরি’ বাতিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, নির্দেশে ‘ক্ষুব্ধ’ পর্ষদ ফের কোর্টে
চিকিৎসার পরেও শিশুটি বাঁচেনি। মৃত্যুর পর একরত্তির দেহ বাড়ি ফেরাতে আরও ৮ হাজার টাকা চেয়ে বসে অ্যাম্বুলেন্স চালক। দুঃস্থ ওই ব্যক্তি সেই টাকা দিতে না পারায় বাধ্য হয়েই ব্যাগে ভরে শিশুর দেহ নিয়ে পাবলিক বাসে উঠে পড়েন। বাসেই কালিয়াগঞ্জে রওনাদেন তিনি। এদিকে, ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের একবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের এই ছবি নিয়ে সোচ্চার হন।
আরও পড়ুন- কর্ণাটকের মুখ উজ্বল করলেন বঙ্গতনয়া! সোনার মেয়ের নজিরবিহীন কীর্তিকে কুর্ণিশ!
টুইটে মৃত শিশুটির বাবার ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ''ইনি অসীম দেবশর্মা। শিলিগুড়ির একটি মেডিক্যাল কলেজে মারা যাওয়া ৫ মাসের শিশুর বাবা। তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে। ৮ হাজার টাকা তাঁর সন্তানের মৃতদেহ পরিবহনের জন্য চাওয়া হয়। দুর্ভাগ্যবশত গত কয়েকদিনে ১৬ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেছিলেন তিনি। তাই ওই টাকা আর দিতে পারেননি। তাই তিনি শিশুটির দেহ একটি ব্যাগে রেখে পাবলিক বাসে উঠে কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানাগর গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান। এটি দুর্ভাগ্যবশত "এগিয়ে বাংলা" মডেলের প্রকৃত চিত্রায়ন।''