মহেশতলার অভিজাত আবাসনে ধুন্ধুমার-কাণ্ড। আবাসন-কর্তৃপক্ষের অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ বাসিন্দাদের। আবাসনের সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে মহলেশতলা থানার দ্বারস্থ আবাসিকরা। থানায় গিয়েছে আবাসন কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার মহেশতলার অভিজাত এই আবাসনের ১০ তলা থেকে সটান নীচে পড়ে যায় ৮ বছরের বালিকা। আবাসনের ফায়ার শ্যাফট থেকে আচমকা নীচে পড়ে যায় ওই বালিকা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একরত্তি ওই শিশুকন্যা ভর্তি সিএমআরআই হাসপাতালে।
মহেশতলার অভিজাত আবাসনে এযেন মৃত্যুফাঁদ! উল্লেখ্য, মহেশতলার ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে গতকাল গৃহপ্রবেশ ছিল। ওই ফ্ল্যাটমালিকের মেয়েই গতকাল করিডোরে খেলছিল। সেখানে একটা ফাঁকা জায়গা ঢাকা ছিল প্লাস্টিক ও প্লাইউড দিয়ে। খেলতে-খেলতে ওই জায়গার সামনেই এসে যায় ৮ বছরের ওই বালিকা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ফায়ার শ্যাফট গলে নীচে পড়ে যায় শিশুকন্যা।
ফায়ার শ্যাফটের নীচের দিকে বেশ কয়েকটি পলকা আচ্ছাদন ছিল। তাতেই ধাক্কা লেগে নীচে মাটিতে পড়ে যায় বালিকা। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা সারাক্ষণ একরত্তি ওই বালিকার শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
আরও পড়ুন- অভিষেককে জবাব দিতে ‘ধনুকভাঙা পণ’ শুভেন্দুর, ডায়মন্ড হারবারের সভায় কোর্টের ছাড়
এদিকে, অভিজাত এই আবাসনের সুরক্ষার এই বিস্তর গাফিলতি নিয়ে শুক্রবার সকালে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিকরা এককাট্টা হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আবাসন কর্তৃপক্ষের অফিসের সামনে। তবে এদিন ওই অফিসে কেউ ছিলেন না। অফিস বন্ধ করে দিয়ে এরপর মহেশতলা থানায় যান আবাসিকরা। আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশের সামনেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
ওই আবাসনের একাধিক জায়গায় সুরক্ষার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। কোথাও ভাঙা কাচ, কোথাও পলকা আচ্ছাদন রয়েছে বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের। এদিকে, আবাসন কর্তৃপক্ষও এদিন মহেশতলা থানায় গিয়েছে। এক আবাসিক বলেন, ''ওদের সিমেন্ট দিয়ে মজবুত ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। অথবা জাল দিয়েও ঘিরে দিতে পারত। এত উঁচু বিল্ডিংয়ে এটা কি সাধারণ একটা বিষয়?''