হাড় হিম করা ঘটনা চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি। মুহূর্তে চূড়ান্ত উত্তেজনা গোটা এলাকায়। পুলিশ ধাওয়া করতেই পিস্তল ফেলে চম্পট দুষ্কৃতীদের। গুলিবিদ্ধ দুষ্কৃতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শুরু তদন্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ চুঁচুড়া থানা থেকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আসামীদের মেডিক্যাল চেক আপের জন্যই তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। এদিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আসামীদের মধ্যেই ছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটোন বিশ্বাস। টোটোনের নামে একাধিক খুন, ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে জেলে রয়েছে টোটোন।
এদিন টোটোনকে নিয়ে পুলিশকর্মীরা হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে ঢোকেন। চেক আপের পর বেরনোর পথেই হাসপাতালের ভিতর থেকে টোটোনকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। গোটা হাসপাতালে হুলস্থূল কাণ্ড বেঁধে যায়। দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ধাওয়া করলে পিস্তল ফেলে পালায় বন্দুকবাজরা। টোটোনের পেটে গুলি লেগেছে। গুলি লাগার পরেও দৌড়ে গিয়ে হাসপাতালের বাইরে থাকা প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়ে টোটোন। পরে তাকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ঢোকায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- চাকরির নামে টাকা তুলে পগার পার তৃণমূল নেতা, ছেলেকে গাছে বেঁধে মার, চড় স্ত্রীকেও
চুঁচুড়া থানার খুব কাছেই রয়েছে এই ইমামবাড়া হাসপাতাল। এদিন হাসপাতালে শুটআউটের খবর থানায় পৌঁছতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। হাসপাতালে পৌঁছে যান জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরাও। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পরে হাসপাতাল চত্বর থেকে এদিন দুটি আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করেছে।
কে বা কারা টোটোনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ল সেব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে টোটোন নিজেও একজন দাগী অপরাধী। তার বিরুদ্ধে খুন, ছিনতাই, লুঠপাটের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুরনো শত্রুতার জেরেই এদিনের এই হামলা বলেও মনে করা হচ্ছে।
তবে এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এগোচ্ছে তদন্ত। অন্যদিকে, এদিন এই ঘটনার পর কড়া নিরাপত্তায় টোটোনের সঙ্গে চুঁচুড়া থানা থেকে আনা বাকি আসামীদেরও একে-একে মেডিক্যাল চেক আপের ব্যবস্থা করে পুলিশ।