এবার চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় বড়সড় সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গ্রেফতার করা হল এই চক্রের মাথা রাজীব দাসকে। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে এই মূলচক্রীকে গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল চিটফান্ড প্রতারণা মামলার এই মূলচক্রী।
Advertisment
এর আগে সারদা, রোজভ্যালির মত বিভিন্ন চিটফান্ড সংস্থার কর্ণধারদের গ্রেফতার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। কিন্তু, তারপরও চিটফান্ডে লেনদেন পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছিল না। কারণ, সারদা এবং রোজভ্যালির মত বড় চিটফান্ডগুলোর লেনদেন ধাক্কা খেতেই আসরে নেমে পড়েছিল বিভিন্ন ছোট চিটফান্ড সংস্থা। তারা ওই বড় চিটফান্ড সংস্থাগুলোর জায়গা পূরণের চেষ্টা করছিল।
আর, এর ফলে প্রতারিত হচ্ছিলেন অসংখ্য মানুষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে এনিয়ে অভিযোগও জমা পড়ে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, 'ত্রিভুবন এগ্রো প্রজেক্ট' নাম দিয়ে একটি চিটফান্ড সংস্থা তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সংস্থা ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, 'ত্রিভুবন এগ্রো প্রজেক্ট' নামে এই সংস্থার মূল মাথা রাজীব দাস। তিনিই সংস্থার ডিরেক্টর।
কিন্তু, তদন্তকারীরা যখন জাল গুটিয়ে আনছেন, সেই সময়ই বিপদের আঁচ পেয়ে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত রাজীব দাস। তারপর থেকেই অভিযুক্তকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর গতকালই সিবিআই কর্তারা সূত্র মারফত জানতে পারেন যে রাজীব দাস বর্তমানে মধ্যমগ্রামে রয়েছেন। তারপরই হানা দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, পলাতক থাকার সময় রাজীব দাস সংস্থার বেশ কিছু নথি সরিয়ে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, 'ত্রিভুবন এগ্রো প্রজেক্ট'-এর বিপুল পরিমাণ অর্থ ইতিমধ্যেই তিনি আত্মসাৎ করেছেন। অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছেন। সেই অর্থ অভিযুক্ত কোথায় সরিয়েছে, তা জানতে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এই জন্য অভিযুক্ত রাজীব দাসকে তাঁরা হাতে পেতে চাইছেন। ধৃতকে শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন তদন্তকারীরা।