সারদা, রোজভ্যালি-সহ চিটফাণ্ডের কর্তারা জেলবন্দি দীর্ঘ বছর ধরেই। এখনও চিটফান্ডের দীর্ঘ মেয়াদী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। এই সব সংস্থার কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্তও করেছে ইডি। এখনও কি আশার আলো দেখছেন চিটফান্ডের আমানতকারী বা এজেন্টরা? টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে এখনও কোনও সম্ভাবনা রয়েছে? শীঘ্রই চিটফান্ড ইস্যুতে কলকাতা কাঁপাতে ময়দানে নামছে অল বেঙ্গল চিটফান্ড সাফারার্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
অ্যাসোসিয়শনের রাজ্য সভাপতি রূপম চৌধুরী বলেন, 'ইতিমধ্যে সরসারি মুখ্যমন্ত্রীকে ৪৩ হাজার সদস্য ফোন করেছেন। তার মধ্য ৪০ হাজার এজেন্ট ও ৩ হাজার আমানতকারী রয়েছেন। এজেন্টরা নিজেরাও আমানতকারী। ব্লক ও জেলা স্তরে আন্দোলন চলছে। এরপর ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্যস্তরে বৈঠক হবে। তারপর ১১ ও ১২ অক্টোবর কলকাতায় আন্দোলনের ঝড় উঠবে। সেদিন হাজার হাজার মানুষ কলকাতার রাস্তায় নামব।' তিনি জানান, এরাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার। তাতে ৩ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও পড়ুন- Exclusive: কলেজে মাঝপথেই টা-টা-বাই-বাই! কী কী কারণ দেখছে শিক্ষামহল?
এর আগে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা দেওয়ার প্রতিবাদে ধর্মতলায় অবস্থানে বসেছিলেন রাজ্যপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। সেই সময় এসএন ব্যানার্জী রোডে ধর্মতলামুখী বড় মিছিল করেছিল এই অ্যাসোসিয়েশন। হঠাৎ হাজার হাজার মানুষের মিছিলে পুলিশ ফাঁপড়ে পড়েছিল। ফের তাঁরা কলকাতা অবরুদ্ধ করার ডাক দিয়েছে।
রূপম চৌধুরী বলেন, 'হাইকোর্টে ৫৪টি সংস্থার বিরুদ্ধে চিটফান্ড ইস্যুতে আমরা মামলা করেছি। ৫২৯ পাতার ব্রিফ রয়েছে। এখনও চিটফান্ড কোম্পানিগুলো নানা রূপে মানুষকে প্রতারিত করে চলেছে। প্রায় প্রতিদিন কোনও না কোনও চিটফান্ড কোম্পানির কর্তা ধরা পরছেন। সরকারি তদন্ত সংস্থার কোনও হেলদোল নেই। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত সিবিআই ও ইডি র তদন্ত হাজার বাও জলে। ৯ বছর হল তদন্তের কোন অগ্রগতি নেই।'