Chitpur elderly couple murder case: আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। এই বিচারকই এবার কলকাতার চিৎপুরে ১০ বছর আগে বৃদ্ধ দম্পতি খুনের মামলায় অভিযুক্ত যুবকের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলেন। ঘটনাচক্রে দোষী এই যুবকের নামও সঞ্জয়, যদিও তার পদবি আলাদা।
১০ বছর আগে কলকাতার চিৎপুরে বৃদ্ধ দম্পতি প্রাণগোবিন্দ দাস ও তাঁর স্ত্রী রেনুকা দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে সঞ্জয় সেন নামে এই যুবকের বিরুদ্ধে। চিৎপুরের একটি ফ্ল্যাটে বৃদ্ধ দম্পতি থাকতেন। তাদের দেখাশোনার জন্য এক তরুণী থাকতেন তাদের ফ্ল্যাটে। সেই তরুণীর সঙ্গে পরবর্তী সময়ে সঞ্জয় সেন নামে ওই যুবকের বিয়েও দিয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। বয়স্ক এই দম্পতি সঞ্জয়কে নিজেদের সন্তানের মতোই দেখতেন। নানা সময়ে সঞ্জয়কে আর্থিকভাবে সাহায্য করতেন তারা। সঞ্জয়ও ওই প্রবীণ দম্পতির নানা কাজ করে দিতেন। বাজার করা থেকে শুরু করে দম্পতিকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়া ছাড়াও টুকটাক সব কাজ সামলাত সঞ্জয়।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে চিৎপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকেই বৃদ্ধ দাস দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। সঞ্জয়ই ওই দম্পতিকে খুন করে তাদের লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকেই সঞ্জয় পুরোপুরি উধাও হয়ে গিয়েছিল। তদন্ত নেমে শেষমেষ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থেকে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। চুরি যাওয়া টাকা ও সোনার গয়নাও উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন- weekend trip: বর্ষায় কলকাতার কাছের এই সমুদ্র পাড়ের অনিন্দ্যসুন্দর রূপ লজ্জায় ফেলে সুন্দরী রমণীদেরও
২০১৫ সালের পর থেকে একটানা ১০ বছর ধরে আদালতে মামলা চলেছে। অবশেষে বুধবার সেই মামলারই সাজা ঘোষণা করলেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। বিচারক অনির্বাণ দাস এর আগে আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা করেছিলেন। আরজি করের নারকীয় ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এক্ষেত্রে চিৎপুরে প্রবীণ দম্পতিকে খুনে দোষী সঞ্জয় সেনকে তিনি দিলেন ফাঁসির সাজা।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসে 'উত্তরকন্যা অভিযান' BJP-র, ঘোষণা শুভেন্দুর