Mamata Banerjee scolded TMC MLA: চোপড়ায় সালিশি সভার নামে যুগলকে বেধড়ক মারধর। ভিডিও দেখে শিউরে উঠেছে রাজ্যবাসী। তরুণ-তরুণীকে রাস্তায় ফেলে মারার ভিডিও ভাইরাল হতেই মুখ পুড়েছে শাসকদল তৃণমূলের। কারণ মারধরের মূল অভিযুক্ত তাজিমুল ওরফে জেসিবি চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এই ঘটনায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ভীষণ ক্ষুব্ধ। ফোন করে বিধায়ককে বকাবকি করেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন, এরকম সালিশি সভা আর একটাও যেন না হয়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে দলীয় বিধায়ককে ফোন করে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। মিনিট পাঁচেক কথা হয় দুজনের। তৃণমূল সূত্রে খবর, চোপড়ায় যাতে আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে চলতে হামিদুলকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং সমস্ত ক্লাবগুলিকেও সেই বার্তা পাঠাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে যেন কোনও সালিশি সভা না বসে। এলাকায় কোনও সমস্যা হলে যেন পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় সাধারণ মানুষ। এবং চোপড়া কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে যেন দলের কোনও পদে না রাখা হয় সেই ব্যবস্থাও করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
একটি সংবাদমাধ্যমকে হামিদুল জানিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী আমার অভিভাবক। তাই চোপড়ার ঘটনায় আমাকে বকেছেন। এটা তাঁর অধিকার। আগামী দিনে যাতে এলাকায় এমন কোনও ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন।' বিধায়কের দাবি, মূল অভিযুক্ত জেসিবি কোনও দলীয় পদে নেই। তৃণমূল সমর্থক মাত্র। তাঁকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার কোনও প্রশ্নই নেই। বরং পুলিশ প্রশাসনের কাছে তাঁর আর্জি যেন দোষীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যাতে আগামী দিনে গণপিটুনিও কেউ না ঘটাতে পারে তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল হামিদুল রহমানের।
তবে রেহাই পাচ্ছেন না বিধায়ক। চোপড়ার ঘটনায় হামিদুলকে শোকজ করেছে উত্তর দিনাজপুর তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের এক শীর্ষনেতার নির্দেশে হামিদুলকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল শোকজ চিঠি হামিদুলকে পাঠিয়েছেন। সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে উত্তর দেওয়ার জন্য। হামিদুলের জবাব এলে তা রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠানো হবে। হামিদুলের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার রাজ্য নেতৃত্বই নেবে।