মধ্য কলকাতার দুই নামজাদা বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের অপহরণ করা হতে পারে! এমনই রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা সিআইএসএফ।
একটি নামজাদা গোষ্ঠীর ওই দুই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল শহরের অন্যতম ভাল স্কুল হিসাবে পরিচিত। সম্প্রতি সিআইএসএফ কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, ওই স্কুলদুটির পড়ুয়াদের অপহরণের আশঙ্কা রয়েছে। যেহেতু বিভিন্ন ক্ষেত্রের একঝাঁক ভিআইপি বা ভিভিআইপি-র সন্তান ওই স্কুলদুটির পড়ুয়া, তাই সে দুটি অপহরণকারীদের 'সফট টার্গেট'। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাটির আশঙ্কা, শহরের অন্য অনেক স্কুলের তুলনায় ওই দুই স্কুলের নিরাপত্তা যথেষ্ট কঠোর হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপর্যাপ্ত।
সিআইএসএফের কাছ থেকে এমন রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন বিচারক প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বৈঠকে বসেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত হয়, অবিলম্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: চিটফান্ড তদন্তে বাংলার ২২ জায়গায় সিবিআই তল্লাশি
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে সুপ্রিয় ধর জানান, পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁরা সর্বদাই বদ্ধপরিকর। নিরাপত্তায় যাতে কোনও ছিদ্র না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই সিআইএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সম্প্রতি সিআইএসঅফ যে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে, তার ভিত্তিতে তাঁরা কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। সিআইএসএফের পরামর্শ মেনেই নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে স্কুলের নিরাপত্তা।
সুপ্রিয়বাবুর কথায়, "সিআইএসএফ নিজেরা স্টাডি করে এই রিপোর্ট পেশ করেছে। তাদের আশঙ্কা এবং উদ্বেগের শরিক আমরাও। এই স্কুলগুলিতে কলকাতার বহু বিশিষ্টজনের সন্তান বা নিকটাত্মীয়েরা পড়ে। আমরা তাদের প্রত্যেকের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। নিরাপত্তায় কিছু ফাঁক নিশ্চয় রয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী করার কথা ভাবছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ?
স্কুলের পাঁচিল আরও বেশ কিছুটা উঁচু করা হবে।
স্কুলে আগে থেকেই পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এবার আরও উন্নত মানের সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
পরিচয়পত্র ছাড়া কোনওভাবেই স্কুলে ঢোকা যাবে না।
পরিচয়পত্রে স্কুলের হলোগ্রাম থাকবে। নিরাপত্তারক্ষীরা তা খুঁটিয়ে দেখেই তবেই কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেবেন।
পরিচয়পত্রে এবার থেকে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
স্কুলের গাড়ি ঢোকার বিষয়ে সিআইএসএফ যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তার ভিত্তিতে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।