করোনা আবহে দীর্ঘদিন পর প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মধ্যমগ্রামে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সাংসদ-বিধায়ক, প্রশাসনিক আধিকারিক, পুলিশকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি এবার থেকে ছাত্র দিবস হিসাবে পালিত হবে। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য এই দিনটা উৎসর্গ করা হবে এবার থেকে।
জানা গিয়েছে, আগামী ২০ নভেম্বর রাজ্যের তরফে আয়োজন করা হবে ছাত্র মেলার। সেখানে মোট ১০ পড়ুয়াকে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, শুধু একদিনই নয়, ১৫ থেকে ২০ দিন অথবা একমাস অন্তর ছাত্র মেলার আয়োজন করা হয়। তাতে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। এরপরই ১ জানুয়ারিকে স্টুডেন্টস ডে বা ছাত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “পড়ুয়ারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তাই বছরের প্রথমদিন পড়ুয়াদের জন্য উৎসর্গ করছি।” ওই দিন আরও একটা মেলার আয়োজন করার দিয়েছেন তিনি।
এদিন করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকেই জেলার পুর প্রশাসকদের ক্লাস নিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে বার বার অভিযোগ আসছে, আপনারা কেন এলাকার কাজকর্ম কেন দেখেন না। আপনারা তো জনপ্রতিনিধি। আপনাদের ঘুরে দেখতে হবে মানুষের সমস্যা কোথায়, কী সমস্যা সেগুলো ঠিক করতে হবে।
মমতা এদিন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেন, এই জেলার প্রত্যেক পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার জন্য। যাঁরা কাজকর্ম খতিয়ে দেখবেন।
আরও পড়ুন ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প: নিয়োগের টাকা কোথায়? মমতার ঘোষণায় বিশ বাঁও জলে ডিলাররা
এদিন টিটাগড়, ভাটপাড়া, বারাকপুর, খড়দহ পুর এলাকার কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই এলাকাগুলি খুব ঘিঞ্জি এলাকা। এখানে যাবতীয় সমস্যা খতিয়ে দেখে মিটিয়ে ফেলুন। আমি চাই না কোনও মানুষের যাতে সমস্যা না হয় সেটা আপনারা দেখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন