আবারও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ভুল তত্ত্ব। নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ফের মুখ খুললেন মমতা। ''ভুল করলে শুধরে নিতে হবে।'' নেতাজি ইন্ডোরের আপাতমস্তক সরকারি অনুষ্ঠানে দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের লাগাতার সমালোচনাকে কার্যত ধুয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে ফি দিন গলা ফাটাচ্ছে বিরোধীরা। হাইকোর্টের একের পর এক নির্দেশে রাজ্যে ঘটে চলা একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে কোমর বেঁধে কাজ করছে ইডি-সিবিআই। ইতিমধ্যেই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে শাসকদলের এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপ একাধিক নেতা জেলের ঘানি টানছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনুব্রত মণ্ডলরা মাসের পর মাস ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। এসএসসি, গরু পাচার থেকে শুরু করে কয়লা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের একাংশের।
আরও পড়ুন- মুখে কুলুপ পার্থর, গাড়ি থেকে নেমে সটান কোর্ট লক-আপে, আদালতে সুবীরেশ, কল্যাণময়রাও
বিরোধীরা দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করে সুর চড়িয়েই চলেছে। দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে গদিচ্যুত করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কার্যত 'ডিসেম্বর ডেডলাইন' বেঁধে দিয়েছে বিজেপি। তবে এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি জোড়াফুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক সামাল দিতে ভুল তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ নেতাজি ইন্ডোরের সরকারি সভায় ফের একবার ভুল তত্ত্ব খাড়া করেই বিরোধীদের তুলোধনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নাম না করে বিরোধীদের দিকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুকে সামলাতে অভিনব পন্থা তৃণমূলের, কৌশল ফাঁস করলেন কুণাল
তিনি বলেন, ''কাজ করতে গেলে ভুল তো হয়। রাস্তায় হাঁটতে গেলে হোঁচট খাই না? যদিও কোনও ভুলভ্রান্তি কেউ করে সেটা শুধরে নেওয়া হবে। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু কিছু লোক যারা বাংলাকে ভালোবাসে না, তাঁরা সারাক্ষণ চিৎকার করে। সারাক্ষণ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বলা যায় তাই ভাবে। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম তখনও সমালোচনা করত। নিজেদের বুদ্ধি অ্যাপ্লাই করবেন। তথ্য ভালো করে যাচাই করে নেবেন। কিছু লোক, কুৎসা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।''