বুধবার পানাগড় শিল্পতালুকে একটি বেসরকারি কারখানার শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে সাজো-সাজো রব পানাগড়ে। তবে শিল্পকে স্বাগত জানালেও শিল্পতালুকে দেওয়া জমি বাবদ ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব জমিদাতাদের একাংশ। ক্ষতিপূরণের দাবিতে পানাগড়ের একাধিক জায়গায় পোস্টার পড়েছে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পানাগড়ে একটি বেসরকারি কারখানার শিলান্যাস করবেন। শুধু তাই নয়, আগামিকাল পানাগড়ে আরও কয়েকটি কারখানার উদ্বোধনের পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি গোটা শিল্পতালুক সাজিয়ে তোলার কাজ চলছে জোরকদমে। এলাকায় শিল্পক্ষেত্রে এই দারুণ সম্ভাবনাকে স্বাগত জানাচ্ছেন বাসিন্দারাও। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী দেবাশিস মজুমদার জানালেন, পানাগড়ে নতুন এই শিল্পের সূচনাকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। শিল্প হলে এলাকার বেকাররা যেমন কাজ পাবেন, তেমনি তাঁদের মতো ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন- তালিবানের খুল্লামখুল্লা প্রশংসা শাহিদ আফ্রিদির! সুপারস্টারের মন্তব্যে তোলপাড়
এদিকে শিল্পতালুকে জমি দেওয়া বেশ কিছু খেতমজুর ও বর্গাদার ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। সরকারি চুক্তি মেনে জমির দাবি তুলেছেন তাঁরা। এব্যাপারে কাঁকসা খেতমজুর ইউনিয়নের সদস্য সুভাষ সাহা জানান, তাঁরা শিল্প-বিরোধী নন। এলাকায় শিল্প হোক সেটা তাঁরাও চান। তবে অনেক বর্গাদার ও খেতমজুর এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। তাঁদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে শিল্প গড়া অনুচিত বলে মনে করে তাঁদের সংগঠন।
খেতমজুর সংগঠনের ওই সদস্যের আরও দাবি, পানাগড়ে কারখানা গড়তে জমি দেওয়া প্রত্যেক জমিদাতাকে অন্যত্র জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। এছাড়াও অনেকেরই এখনও কাজের ব্যবস্থাও করা যায়নি, তাঁদের এই সব দাবি মানতে হবে সরকারকে। এলাকার জলনকাশি ব্যবস্থাও সুদৃঢ় করার দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন