Offbeat Holiday Destination: নির্জনতা-নিস্তব্ধতা যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের জন্য এই জায়গার জুড়ি মেলা ভার। কোলাহলমুক্ত নিরিবিলি পরিবেশে দিন কয়েক কাটিয়ে আসার ইচ্ছে থাকলে ঘুরে আসুন ঝালং থেকে। উত্তরবঙ্গের একেবারে শেষ প্রান্তের এই গ্রামের অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের যত তারিফ করা যায় ততই যেন কম। দু'তিন দিনের জন্য ছোট্ট ট্রিপ হলে ঝালং একেবারে পারফেক্ট চয়েজ। ইঁদুর দৌড়ের জীবনে অধিকাংশ মানুষই এখন বড্ড ব্যস্ত। দিন কয়েকের জন্য তাই ঝালং ট্রিপে যান। এখানকার মন্ত্রমুগ্ধকর নিস্তব্ধতা মন শান্ত করবে। ঘুরে এসে ফ্রেশ মুডে কাজে যোগ দিন।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৯৯ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পাহাড় কোলের ছোট্ট এই গ্রাম। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের শেষ গ্রামও বলে এই ঝালংকে। এরপর থেকেই শুরু হচ্ছে ভুটান। যাঁরা ভিড় পছন্দ করেন না অনায়াসেই ঝালংয়ের নিস্তব্ধতা চেটেপুটে নিতে পারেন। দিনভর এখানে শুনবেন ঝর্নার জল পড়ার শব্দ। ভরা বর্ষায় এখানে বৃষ্টির জলের সঙ্গে ঝিঁঝিপোকার ডাকের শব্দ গোটা পরিবেশটাই আরও রোমাঞ্চকর করে তোলে। সবুজে ঘেরা এই পাহাড়ি গ্রাম ক্যালেন্ডারের ছবিকেও যেন হার মানায়।
আরও পড়ুন- পাহাড়ের কোলে ঘুমিয়ে ছোট্ট গ্রাম, উত্তরবঙ্গের এপ্রান্তের অসাধারণ শোভা ভাষায় প্রকাশ কঠিন!
ঝালং থেকে একটু দূরেই রয়েছে বিন্দু গ্রাম। ভুটান সীমান্তের একেবারে গা ঘেঁষে থাকা এই পাহাড়ি গ্রাম নানা রকমের গাছ-গাছালি দিয়ে যেন সাজানো রয়েছে। গ্রামের ভিতরেই থাকা একটি বাঁধের উপর থেকে পড়শি দেশ ভুটানের একাংশ দেখতে পাওয়া যাবে। এককথায় দিন কয়েকের বেড়ানোর জন্য উত্তরবঙ্গের এই এলাকার জুড়ি নেই। ভুটান সীমান্ত এলাকার এই জায়গার অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য চোখ জুড়িয়ে দেবে। অ্যাডভেঞ্চার যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের জন্য এখানে রয়েছে নানা রসদ।
ঝালং যাবেন কীভাবে?
নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি স্টেশনে পৌঁছে যেতে হবে। সেখান থেকেই ঝালং যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। তবে আকাশপথে গেলে শিলিগুড়ির বাগডোগরা এয়ারপোর্টে নেমে গাড়ি ভাড়া করতে হবে।
আরও পড়ুন- পাহাড়ঘেরা গ্রামের বুক চিরেছে নদী, উত্তরবঙ্গের অসাধারণ এপ্রান্ত অনেকেরই অজানা!
ঝালংয়ের থাকার জায়গার কী বন্দোবস্ত?
এখানে নদীর পাড়ে থাকার জন্য বেশ কিছু তাঁবু রয়েছে। মন চাইলে সেখানেও থাকতে পারেন। তবে এছাড়াও বহু হোটেল আছে। বর্তমানে এখানকার হোম স্টে পরিষেবাও দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। হোম স্টে-তে থাকা-খাওয়া মিলিয়ে একটি খরচ নেওয়া হয়। বেসরকারি হোটেলগুলিতেও থাকার খরচ মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই।
আরও পড়ুন- কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সন্ধেয় ফিরুন, কোলাহলহীন নদীপাড়ে আরাম পাবে মন