New turn in West Bengal Politics: লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস জোটে না গেলেও, মালদার মানিকচকের সমবায় সমিতির নির্বাচনে একসঙ্গে লড়াই করে বামেদের পরাজিত করল তৃণমূল। শুধু জোট বেঁধে লড়াই নয়, মানিকচকের একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনে রীতিমতো সিপিএমের পাঁচ প্রার্থীদের গোহারা হারিয়েছে তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোট। সোমবার মানিকচকের এই সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতেই রীতিমতো উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন তৃণমূল ও কংগ্রেস জোটের সমর্থকরা। যদিও দলের প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয় নিয়ে তেমনভাবে আমল দিতে চায়নি জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। দলের জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ধরনের নির্বাচন স্থানীয় স্তরে হওয়ায় বাম-কংগ্রেস জোটে কোনও প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, মানিকচক ব্লকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এসকেইউএস সমবায় সমিতির নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত ছিল। ওই সমবায় সমিতির নির্বাচন করার বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালত পর্যন্ত মামলা গড়ায়। এরপরই উচ্চ আদালতের নির্দেশেই মানিকচকের সংশ্লিষ্ট এলাকায় সমবায় সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন হয়। তাতেই, কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল এই সমবায় সমিতি দখল করল।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৬টি আসনে অংশগ্রহণ করেছিল ১২ জন প্রার্থী। যাঁদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন তৃণমূলের, ২ জন কংগ্রেসের। ৫ জন ছিলেন সিপিএমের এবং ১ জন ছিলেন বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। শেষ পর্যন্ত, কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে ওই সমবায় সমিতির ৬টি আসন দখল করেছে তৃণমূল।
মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি লোকসভা ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে অনেকেই দলনেত্রীর সঙ্গে থাকেননি। আজ তৃণমূল সুপ্রিমোর নেতৃত্ব জোট মেনে নিলে হয়তো এই রাজ্য থেকে বিজেপি শূন্য হয়ে ফিরত। আজকের সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল তা পরিষ্কার ভাবে বলে দিচ্ছে। সিপিএম পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েও একটি আসনেও জিততে পারেনি।'
আরও পড়ুন- ‘অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি!’ ভোট মিটতেই ‘অ্যাকশন মোডে’ মমতা, কাদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর?
এই জয়ের ফলে, দীর্ঘদিন পর মানিকচকের এসকেইউএস সমবায় সমিতির শাসনক্ষমতা হাতে পেল তৃণমূল এবং কংগ্রেস। কাজেই তৃণমূল এবং কংগ্রেস রাজ্যে জোট বেঁধে লড়াই করলে কোন অসুবিধাই হবে না। এমনটাই দাবি করেছেন সাবিত্রী মিত্র। যদিও তাঁর এই দাবি প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা জানিয়েছেন, এককভাবে লড়লেও এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে আমরা ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছি। যদিও সমবায় সমিতির নির্বাচনে দলের কোনও ভূমিকা থাকে না। প্রার্থীদের ব্যক্তিগত প্রাধান্যই মূল গুরুত্ব পায়। সেই কারণে, এই ভোটের ফলাফল প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে।