পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমার প্রথম দিনেই ঝরল রক্ত। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে নিহত কংগ্রেস কর্মী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের এখনও এক মাস দেরি। তার আগে এখন থেকেই এই খুনোখুনি ঘিরে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু। কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বেই এই খুন কিনা তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই শুরু 'রক্তের রাজনীতি'। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার খড়গ্রামের নলদীপ গ্রামে কয়েকজনের সঙ্গে বসে তাস খেলছিলেন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ। ঠিক সেই সময়ে অতর্কিতে সেখানে হানা দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাইকে চেপে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। খুব কাছ থেকে ফুলচাঁদকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে থাকা বাকিদেরও মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন- ফের রেলে বিরাট বিপত্তি! পরপর দুটি এক্সপ্রেস ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে মাত্রাছাড়া দুর্ভোগ
গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফুলচাঁদ। তড়িঘড়ি তাঁকে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুষ্কৃতী হামলায় জখম তাঁর কয়েকজন সঙ্গীকেও নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে ফুলচাঁদ শেখের মৃত্যু হয়। বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে তৃণমূলকেই দুষছে নিহতের পরিবার। যদিও তাঁদের সেই দাবি উড়িয়েছে শাসকদল। নিহদের পরিবারের তরফে বেশ কয়েকজনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। এফআইআর-এ নাম থাকা ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনেনায়নত্র জমার প্রথম দিনেই এই রক্তস্নান ঘিরে রাজনৈতিক কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'মৃত্যু দিয়ে শুরু নির্বাচন। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের আর কী হতে পারে!' অন্যদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'প্রথম থেকেই বিরোধীরা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন। অন্তর্দ্বন্দ্বে এই ঘটনা কিনা তা তদন্ত করে দেখা দরকার।'