Calcutta High Court:পাসপোর্টের আবেদনে রূপান্তরকামী পরিচয়পত্র গৃহীত হবে: কলকাতা হাইকোর্ট

Transgender-Passport: পাসপোর্টের আবেদন করেও সমস্যায় পড়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই রূপান্তরকামী মহিলা।

Transgender-Passport: পাসপোর্টের আবেদন করেও সমস্যায় পড়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই রূপান্তরকামী মহিলা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kolkata high court

Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্ট।

পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী রূপান্তরকারী এক মহিলার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিবেচনার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ২০২৩ সালে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন ওই রূপান্তরকারী মহিলা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, "আবেদনকারীর পাসপোর্ট আবেদন বিবেচনার সময় আবেদনকারীর ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়পত্র বিবেচনা করা হবে।"

Advertisment

গত বছর অনুপ্রভা দাস মজুমদারের পাসপোর্ট আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে পুনরায় আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনুপ্রভার আইনজীবী সুমন গাঙ্গুলী বলেন, "ব্রিটেনে একটি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে তিনি তৎকাল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন।" তিনি আরও জানান, বিচারপতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাঁর ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়পত্র বিবেচনা করার নির্দেশও দিয়েছেন, কারণ এটাই ছিল বিতর্কের মূল বিষয়।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া লিঙ্গ অধিকার কর্মী এবং তার সঙ্গী বাপাদিত্য মুখার্জির মন্তব্য ঊদ্ধৃত করে লিখেছে, "তিনি পাসপোর্ট পেতে না পারার কারণে লিঙ্গ সংক্রান্ত তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেননি।" ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়পত্র পাওয়ার পর অনুপ্রভা ২০২৩ সালে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়পত্র সহ কর্তৃপক্ষের চাওয়া সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখিয়েছেন, কিন্তু পাসপোর্ট জারি করা হয়নি এই কারণে যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়পত্রের অস্তিত্ব বা বৈধতা সম্পর্কে পাসপোর্ট অফিসারকে অবহিত করেনি। সংক্ষেপে, তারা বলেছেন যে ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়পত্রকে পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য একটি বৈধ নথি হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না।

Advertisment

আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচন, জয় ধরে রাখতে প্রত্যয়ী তৃণমূল, আশাবাদী BJP-কংগ্রেস

এই মামলার গত শুনানির সময় বিচারপতি অমৃতা সিনহা কর্তৃপক্ষের কাছে ২০২৩ সালে ট্রান্স মহিলার পাসপোর্ট আবেদন ছিল কিনা সে সম্পর্কে অবগত না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। বিচারপতি সিনহা পাসপোর্ট অফিসের আইনজীবীকে বলেন, "আবেদনটি ২০২৩ সালে করা হয়েছিল। আপনার কর্তৃপক্ষ কীভাবে বলতে পারেন যে তিনি আবেদন করেননি? এর অর্থ তারা এটি সঠিকভাবে পরীক্ষা করেই দেখেননি। কর্তৃপক্ষ কীভাবে আবেদনটি যে করা হচ্ছে সে ব্যাপারে অবগত থাকতে পারে না? এগুলি অনলাইন আবেদন, তারা অবশ্যই এটি জানেন।"

আরও পড়ুন- Kolkata Weather Update today:আজ ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে এই জেলাগুলি, সঙ্গে জোরালো দাপট প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার

তবে, পাসপোর্ট অফিসের আইনজীবী আদালতে জানান যে নির্দেশ অনুযায়ী তিনি (রূপান্তরকারী মহিলা) পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেননি। কিন্তু যেহেতু তার আইনজীবীর দ্বারা জমা দেওয়া সাপ্লিমেন্টারি হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন, তাই এব্যাপারে ফের নির্দেশনা নিতে হবে। বুধবার, আইনজীবী জানান যে আবেদনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং তিনি যদি পুনরায় আবেদন করেন, তবে সেটি বিবেচনা করা হবে।

Calcutta High Court transgender Passport