New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/22/EGladpOIUED4uocysUWF.jpg)
Land compensation issues: প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব জমিমালিকরা।
Landowners protest Purba Bardhaman: ফের জমি আন্দোলন। তবে এক্ষেত্রে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট অবশ্য আলাদা। দাবি আদায়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন জমিমালিকরা।
Land compensation issues: প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব জমিমালিকরা।
NH-116A Bowaichandi to Guskara section: ফের জমি আন্দোলন বঙ্গে। জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে জমি মালিকদের আন্দোলনে বুধবার উত্তাল হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বোঁয়াইচণ্ডী এলাকা। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে পথে নামা জমি মালিকদের আন্দোলনের জেরে থমকে যায় NH-১১৬ এর নির্মাণকাজ। জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণ না মেলা পর্যন্ত কোনও নির্মাণকাজ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জমি মালিকরা সীমানা পিলারও উপরে দিয়েছেন।
খড়গপুর থেকে মোরগ্রাম পর্যন্ত নতুন জাতীয় সড়ক (এনএইচ ১১৬-এ) তৈরি হচ্ছে। এই রাস্তা পাঁচটি জেলার উপর দিয়ে যাচ্ছে। এই রাস্তা হয়ে তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এই রাস্তা তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের মূল্য নির্ধারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে খণ্ডঘোষের চাষি ও জমিমালিকরা মিলে ‘কৃষক ঐক্য মঞ্চ’ গঠন করেছেন। ব্যানারে ও হাতে লেখা নানা পোস্টার নিয়ে তারা এদিন সংগঠিতভাবে পথে নামেন। জমিমালিক ও কৃষকেরা দাবি তোলেন, জমি অধিগ্রহণ করতে হলে তাঁদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
খণ্ডঘোষের বাসিন্দা জেলার কৃষক নেতা বিনোদ ঘোষ জানান, চাষিরা উন্নয়নের বিরোধী নন। তাঁরা শুধু নায্য ক্ষতিপূরণ চান। কৃষকেরা বলছেন, “১৯৫৬ সালের আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অথচ ২০১৩ সালের অধিগ্রহণ আইনের সংশোধনী অনুযায়ী তারা নায্য ক্ষতিপূরণ চান। সেই দাবি না মানলে কাজ চলতে দেওয়া হবে না।”
এদিকে, কৃষক ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ শাহজাহানের অভিযোগ, “চাষিদের চাপ দিয়ে জেলা প্রশাসন ভুল নীতি প্রয়োগ করছে। গতকাল খণ্ডঘোষের উখরিদ থেকে কাজে বাঁধা দেওয়া শুরু হয়েছে। সেটা ঘোষণা করেই করা হয়েছে। এরপর আমরা আদালতে যাবেন।’ বুধবার আন্দোলনের সূচনা হিসেবে কৃষকেরা এলাকায় বসানো জমি অধিগ্রহণের পিলারগুলি উপড়ে ফেলেন।
আরও পড়ুন- PM Modi: বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী, ২৯ মে সভার জন্য কেন এই জায়গাকেই বেছে নিলেন মোদী?
তাঁদের অভিযোগ, এই অঞ্চলের জমি ’কাটা’ প্রতি ৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় বেচা-কেনা হলেও, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বিঘা প্রতি মাত্র ৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করেছে। বাজারদরের তুলনায় এই মূল্য অত্যন্ত কম বলে আন্দোলনকারীদের দাবি। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে তাঁরা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হবেন। প্রয়োজনে তাঁরা আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।