Contai Co-operative Bank Election 2024 Results: অধিকারী গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি। কাঁথিতেই রয়েছে শিশির-শুভেন্দুদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জ। আর সেই কাঁথির সমবায় ব্যাঙ্কে নির্বাচনে ধরাশায়ী হল বিরোধী দলনেতার দল বিজেপি। নিরঙ্কুশ জয় পেল তৃণমূল। ঘাসফুলের প্রার্থীরা ১০৮টি আসনের মধ্যে ১০১টিতেই জয়ী হয়েছেন। বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৬টি আসন। একটিতে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী।
এই নির্বাচন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বাড়ছিল। কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সেইমতো এদিন সিআরপিএফ জওয়ান নিরাপত্তায় রেখে ভোট এবং গণনা হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত তৃণমূলই শেষ হাসি হাসল। ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি বলেছেন, এই ভোটে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল, মমতা ব্যানার্জির মুখ উজ্জ্বল হয়েছে। কাঁথি নয় শুধু, সবকটি বুথেই খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির প্রার্থীরা। মানুষ একচেটিয়া ভাবে বিজেপিকে বহিষ্কার করেছে।
এই সমবায় ব্যাঙ্কে ভোটের দায়িত্ব প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরিকেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরঙ্কুশ জেয়র র রামনগরের বিধায়ক বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটে এই ভোট করানো যায়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করানো হয়েছে। যা রাজ্যের ইতিহাসে লজ্জার। তারপরেও বিজেপপির থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
অন্যদিকে, সমবায় ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, রাজ্যের কোথাও যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় না তা কাঁথি সমবায় নির্বাচনে স্পষ্ট হয়ে গেল। সমবায় ভোটেও বেনজির ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে। এরপরেও বুথে বুখে অশান্তি ছড়িয়েছে। বিজেপির ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ছবি বুঝিয়ে দিল সমবায় ভোটে সাধারণ মানুষ নিজেদের মতামত জানানোর সুযোগ পেলেন না।
আরও পড়ুন দীর্ঘদিনের বান্ধবীর সঙ্গে রেজিস্ট্রি সারলেন কৌস্তভ, প্রধান সাক্ষী হিসাবে সই শুভেন্দুর
তৃণমূলে থাকার সময় এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দু। দীর্ঘসময় ধরে পদে থাকার পর বিজেপিতে যাওয়ায় শুভেন্দুর হাত থেকে ক্ষমতা চলে যায়। ভোটের গণনার সময় প্রাক্তন সাংসদ শিশির অধিকারী বলেছিলেন, ভদ্রলোকেরা জিতবে এবং চোরেরা হারবে। বিজেপির জয়ের বিষয় বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বিজেপির।