Malda Medical: মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে বিতর্কিত ছবির পোস্টার পড়ল। যা নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও আন্দোলনকারীদের নিশানায় রয়েছেন চিকিৎসক অভীক দে। ২০২৩ সালে এক অনুষ্ঠানে একইমঞ্চে অভীক দে'র সঙ্গে ছিলেন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার প্রসেনজিৎ বর। বিতর্কিত ছবিতে এমনই দেখা যাচ্ছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অভিযোগে তাই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজজুড়ে।
যে বিতর্কিত ছবি ঘিরে এত আলোড়ন, তা ২০২৩ সালের এক অনুষ্ঠান মঞ্চের। সেই ছবি প্রিন্ট আউট করে পোস্টার লাগানো হয়েছে গোটা মালদা মেডিকেল কলেজ চত্বরজুড়ে। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার প্রসেনজিৎ বরের ঘরের সামনেই লাগানো হয়েছে একাধিক পোস্টার। যেখানে দেখা যাচ্ছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারের উপস্থিতিতেই অভীক দে চিকিৎসকদের ডিগ্রি তুলে দিচ্ছেন। তাই মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা জানতে চান, সন্দীপ ঘোষের অন্যতম সহযোগী এই অভীক দে-এর কী কারণে মালদা মেডিকেল কলেজে আনাগোনা ছিল?
আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন, অভীক দে-এর ছত্রছায়ায় অনেকেই রয়েছেন। অভীক দে-এর সেই সহযোগীরা এখনও মালদা মেডিকেল কলেজেই রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিযোগ, মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চলত, 'থ্রেট কালচার'। তাই অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। অভীক দে কী কারণে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেই সুপারের ঘরের সামনে লাগানো হয়েছে বিতর্কিত পোস্টার।
আন্দোলনকারী ছাত্রদের অভিযোগ
শুক্রবার আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক সৌম্যজিৎ কাঞ্জি বলেন, 'প্রিন্সিপাল স্যার বলছেন যে অভীক দে কে মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে এসেছে বা কে তাঁকে মান্যতা দিয়েছে, সে নিয়ে তাঁর কোনও ধারণা নেই। আমরা পোস্টার দিয়ে দেখালাম যে অভীক দে যে অনুষ্ঠানগুলোতে ছিল, সেই একই অনুষ্ঠানে আমাদের এমএসভিপি স্যারও ছিলেন। এইটা পোস্টার মেরে প্রমাণ করলাম, তারা যখন সেখানে ছিলেন, এই সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না, এটা হতেই পারে না। তাঁরা সবটাই জানতেন। সবটা জেনেশুনে এখন মিথ্যা কথা বলছেন।'
আরও পড়ুন- বিচারের দাবিতে গর্জালেন জুনিয়র ডাক্তাররা, CBI-এর উপর চাপ বাড়াতে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক আন্দোলনকারী ছাত্র অভিযোগ করেন, 'এটা বোঝা যাচ্ছে যে অভীক দে এই কলেজে আসত। মালদহ মেডিকেল কলেজটাকে নতুন আরজি কর বানানোই অভীক দে ও অভীক দে-এর চামচাগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল। মালদা মেডিকেল কলেজকে একটা নরক বানানোর জন্য, আরজি কর বানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ওরা এখানে আসত। এখানে যাঁরা ওকে সম্মান দিয়েছে, তাঁদেরকে ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের নেই। আমরা চাইব, যে সমস্ত নাম অভীক দের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যারা তিলোত্তমার ধর্ষণ এবং খুনের দিন আরজি কর-এ কুচকাওয়াজ করতে গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে একটা তদন্ত কমিশন বসুক।'