করোনা ভাইরাসের হানায় প্রাণ হাতে করে রয়েছে চিন। সে দেশে পড়তে গিয়ে এবার চরম বিপাকে পড়লেন এক বঙ্গ সন্তান। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে চিনে কার্যত ঘরবন্দি বর্ধমানের কালীবাজারের যুবক সাম্য কুমার রায়। ছেলেকে দ্রুত দেশে ফেরানোর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন সাম্যের বাবা-মা। ছেলের চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া কার্যত ছেড়ে দিয়েছেন ওই দম্পতি।
জানা গিয়েছে, চিনে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করছেন বর্ধমানের যুবক সাম্য রায়। গত ২১ জানুয়ারি তিনি চিনের উদ্দেশে রওনা দেন। পরের দিনই সেখানে বিমানে নামেন তিনি। পরিবারসূত্রে খবর, ফোনে সাম্য জানিয়েছেন, চিনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। প্রায় সাড়ে তিনশো ভারতীয় ছাত্র উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। যাঁদের মধ্যে দু’জন বাঙালি। একজনের বাড়ি কলকাতায়। করোনা-আতঙ্কে চিনে দোকানপাট সব বন্ধ। তাঁদের ঠিকমতো খাবারও মিলছে না বলে জানিয়েছেন সাম্য।
আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কলকাতাও? বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি চিনা তরুণী
এদিকে, এ অবস্থায় ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া সাম্যর বাবা-মা। সাম্যর বাবা সুজিত রায়ের আর্জি, তাঁর ছেলেকে যেন দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করে সরকার। এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি আবেদন জানিয়েছেন বলে খবর।
অন্যদিকে, কলকাতার হাসপাতালে চিনা তরুণীর মৃত্যু ঘিরে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। ধুম জ্বরে হঠাৎই কাবু হয়ে পড়েন চিনা তরুণী হুয়ামিন। প্রথমে তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রবিবার তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, এমনটাই অনুমান। তবে এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট উত্তর দেননি ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো নমুনা পাওয়া যায়নি।