বাংলায় করোনার দাপট বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য়ে আরও ১৪৮ জনের শরীরে কোভিড ১৯ মিলেছে বলে খবর। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া ২,৮২৫। করোনায় বাংলায় মৃত বেড়ে হয়েছে ১৭২। এই মুহূর্তে করোনায় অ্য়াক্টিভ কেসের সংখ্য়া ১৫৭৫। রাজ্য়ে করোনায় সুস্থ হয়েছেন ১০০৬ জন, স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিন সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য়ে করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা (৭০৬), এরপরই রয়েছে হাওড়া(৩৮৩) , উত্তর ২৪ পরগনা (২০৬), হুগলি (১০০)।
লকডাউন বহুলাংশে শিথিল হচ্ছে রাজ্যে। নবান্নে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, “আগের লকডাউন আর এখনকার লকডাউনের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলি চলবে। প্রয়োজনীয় এবং অল্প প্রয়োজনীয় সার্ভিসও চলবে। ব্লক ধরে ধরে শহরে এবং গ্রামে আমরা কনটেন্টমেন্ট জোনকে তিনটে ভাগে ভাগ করেছি”। এগুলি হল- ‘এ’ অর্থাৎ এফেক্টেড জোন বা ক্ষতিগ্রস্ত জোন। এখানে করোনা সংক্রমণ হতে পারে বা হয়েছে। তাই বিধির কড়াকড়ি অনেক বেশি থাকবে। দ্বিতীয় হল, ‘বি’অর্থাৎ বাফার জোন। এখানে সংক্রমণ নগণ্য, কিন্তু পাশাপাশি নজর রাখা হবে এই এলাকাতেও। তৃতীয় হল ‘সি’ তথা ক্লিন জোন। এখানে জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক থাকবে।''
আরও পড়ুন: Live Updates: বাংলার বুকে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘আমফান’, কাল থেকে শুরু ঝড়-বৃষ্টি
এদিন মমতা আরও বলেন, “দিল্লি,চেন্নাই, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ সব জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ভয়াবহ অবস্থা। আমাদের বাংলায় কিন্তু সেই চিত্র নেই। আমরা সবাইকে আপন করে রেখেছি। বাংলার লোকেরাই কেবল দেশের সব জায়গায় নেই, এখানেও দেশের বহু রাজ্যের লোক আছে। রাজ্যে ৪০ শতাংশ হিন্দি ভাষীরা আছেন। তারাও তো কোনও না কোনও রাজ্যের লোক। আমি অন্যান্য রাজ্যকে বলব, আমার রাজ্যের শ্রমিকদের একটু যত্ন নিন। বাংলা থেকে অনেক শ্রমিককে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কিন্তু অন্য রাজ্য সেটা করছে না সব সময়।”
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫,২৪২ জন। দেশে মোট কোভিড-১৯ সংক্রমিত ৯৬,১৬৯। সোমবার সকাল পর্যন্ত ভাইরাসে মৃত বেড়ে হয়েছে ৩,০২৯। বর্তমানে এ দেশে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৬,৩১৬ ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৬,৮২৪ জন। সংক্রমণের এই রেকর্ড বৃদ্ধির মধ্যেই আজ থেকে দেশজুড়ে চতুর্থ পর্বের লকডাউন শুরু হয়েছে, যা লাগু থাকবে ৩১ মে পর্যন্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন