এ যেন রীতিমতো বেপাত্তা আসামীকে খোঁজার মতো অবস্থা হল খড়গপুর টাউন থানার পুলিশের। করোনা সন্দেহে এক যুবককে খুঁজতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেল পুলিশ-প্রশাসন। তবে শেষমেশ ওই যুবককে ধরে ফের তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তুলে দিল পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বেলেঘাটা হাসপাতালে যেতে বলা হয়েছিল ওই যুবককে। কিন্তু সেখানে না গিয়ে তিনি নিজের বাড়িতেই ফিরে আসেন। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসেন স্থানীয়রা। এরপরই ওই যুবকের খোঁজে রীতিমতো 'অভিযান' চালায় পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, খড়গপুর শহরের এক যুবক সম্প্রতি জ্বর ও বুকে ব্যথা নিয়ে প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছিলেন। সেখানে ওই যুবকের অবস্থা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল থেকে তাঁকে নীলরতন হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ১৭ মার্চ ওই যুবককে নীলরতন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন তিনি 'অতিমাত্রায় সন্দেহভাজন সংক্রামক'। এরপর তাঁকে ফের বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: এক ছিপি গোমূত্র খেয়েই হাসপাতালে ভর্তি ঝাড়গ্রামের যুবক
ওই যুবক বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে না গিয়ে পরিবার-সহ খড়্গপুরে তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন বলে জানা যায়। এলাকাবাসী তাঁকে ঘিরে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁর রিপোর্ট দেখে হতবাক হয়ে যান সকলেই। এরপর স্থানীয়রাই উদ্যোগ নিয়ে তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ওই সংক্রান্ত ওয়ার্ড না থাকায় বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছে যায় যে ওই যুবক টোটোতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন খড়গপুর শহরে। এরপরই পৌর প্রশাসন ও খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ হন্যে হয়ে ওই যুবকের খোঁজ শুরু করে শহরজুড়ে।অনেক পরে খুঁজে বের করে তাঁকে ফের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন