বাংলায় করোনার থাবা অব্য়াহত। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত আরও একজনের হদিশ মিলল রাজ্য়ে। নয়াবাদের এক বৃদ্ধের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯ ভাইরাস। কলকাতার একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হল ১০। বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্য়া ১।
করোনা মোকাবিলয়া দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। কিন্তু সরকারের নির্দেশিকা অমান্য় করেই রাস্তায় দেখা মিলছে কয়েকজন অসেচতন মানুষের। লকডাউন অমান্য় করার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। লকডাউনে অত্য়াবশকীয় পরিষেবা সচল রাখতে বুধবারই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। বাজারে যাঁরা যাবেন, তাঁদের সামাজিত দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন: করোনায় ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মমতার, কী লিখলেন?
রাজ্যে করোনা সতর্কতায় এবার গান বাঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বহুবার সচেতনতা ও নিজের কথা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে একাধিকবার তুলি ও কলম তুলে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজ্যবাসীকে করোনা নিয়ে আশ্বস্ত করতে ফের তাই সুরকেই হাতিয়ার করলেন মমতা। গানটিতে সুর দিয়েছেন তিনি নিজেই। গানটি গেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল রায়।
করোনা মোকাবিলায় বিজেপির ১৪ জন সাংসদ ও একজন বিধায়ক নিজেদের উন্নয়ন তহবিল থেকে মোট ১০কোটি ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন। বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া স্থানীয় উন্নয়ন তহবিল থেকে দিয়েছেন ১কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। উন্নয়ন তহবিল থেকে সিপিএমের বিধায়করা দিয়েছেন আড়াই কোটি টাকার ওপর। রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়করা দিচ্ছেন ১০ লক্ষ টাকা করে। করোনা তহবিলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন ১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: করোনায় গান বাঁধলেন মমতা
অন্য়দিকে, লকডাউনে হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানার একটি বাজারে পণ্য়ের যোগান না থাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেছেন কয়েকজন ব্য়বসায়ী। জলপাইগুড়ি তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন তিস্তা পারের গ্রাম বিবেকানন্দ পল্লিতে অবাঞ্ছিত লোককে আটকাতে গলির মুখে বাঁশ দিয়ে রাস্তায় ব্য়ারিকেড তৈরি করলেন গ্রামবাসীরা।
এদিকে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া সাড়ে ছশো ছুঁল। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের মৃত্য়ু হয়েছে ১৩। করোনা মোকাবিলায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্য়াকেজ ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।