বাংলায় করোনা আক্রান্তে সংখ্য়া বেড়ে হল ৬১। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ''আজ ১২টা পর্যন্ত বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৬১, এর মধ্য়ে ৫৫টি কেস ৭ টি পরিবারের। বাংলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্য়ে ৯৯ শতাংশের বিদেশ যোগ রয়েছে। করোনায় বাংলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্য়ু হয়েছে ৩ জনের। ১৩ জনকে সুস্থ করে ছাড়া হয়েছে''।
অন্য়দিকে, করোনা পরিস্থিতিতে 'আগামী দিনের দিশা' দেখানোর জন্য় বিশেষ বোর্ড গড়লেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ''আমরাই প্রথম রাজ্য় সরকারের পক্ষ থেকে ভবিষ্য়তের দিশা দেখানোর জন্য়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে, সবকিছু নিয়ে গ্লোবাল অ্য়াডভাইজরি বোর্ড ফর কোভিড রেসপন্স পলিসি ইন ওয়েস্টবেঙ্গল তৈরি করছি''। এই বোর্ডে থাকছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
এদিকে, বিরোধীদের নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ''এটা রাজনীতি করার সময় নয়। সেবা করার সময় । কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আইটি সেল অপপ্রচার চালাচ্ছে। ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। কাঁসল ঘণ্টা বাজিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে। দয়া করে এটা করবেন না''।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় বিশেষ বোর্ড গঠন মমতা সরকারের, থাকছেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ
কোনও রোগীর মৃত্যু করোনাভাইরাসে হয়েছে কিনা তা নির্ধারণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার। কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হলে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবার থেকে স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাতে হবে। সরকার গঠিত কমিটি এখন থেকে খতিয়ে দেখবে যে মৃত ব্যক্তির করোনার সংক্রমণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে কিনা? স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় এমনটাই জানানো হয়েছে।
মহেশতলার ব্রাইট টেলার্সে নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রায় পাঁচশো শ্রমিক ‘পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট’ বা পিপিই বানানোর কাজ করে চলেছেন। করোনা চিকিৎসায় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই পিপিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার তন্তজকে পিপিই বানানোর বরাত দিয়েছে। পরে রাজ্যের আওতাধীন এই সংস্থা ব্রাইট টেলার্সকে পিপিই তৈরির নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই লকডাউনে ব্যস্ততা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিলের পরও দেশের ৬২ জেলায় জারি থাকবে লকডাউন, কেন?
লকডাউনে একেবারে অন্য ধরনের উদ্যোগ এসএফআইয়ের। প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিচ্ছে সিপিআইএমের এই ছাত্র সংগঠন। কলকাতা, শহরতলি ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই পরিষেবা দিচ্ছেন এসএফআইয়ের সদস্যরা।
এদিকে ভিনরাজ্য ফেরত গ্রামের শ্রমিকদের তালিবপুরের স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আশ্রয় দেওয়াকে ঘিরে বচসায় বীরভূমের পাড়ুই থানা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গোলাগুলিতে মৃত্যু হয় শেখ নাসিরুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির। কোয়ারান্টাইন ঘিরে বচসা হয় হুগলিতেও।
এদিকে, ভারতে বাড়ল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশে কোভিড-১৯ পজেটিভ ৪,০৬৭ জন। ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। এ দেশে করোনায় মৃত্যু একশো ছাড়িয়েছে। সোমবার এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা ৮৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৯।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন